— প্রতীকী ছবি।
বাম, কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সমবায় নির্বাচনে তৃণমূলকে রুখে দিল বিজেপি। ঘটনাস্থল বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের প্রাক্তন নির্বাচনী কেন্দ্র কৃষ্ণনগর। সেখানে কিশোরপুর কৃষি সমবায় উন্নয়ন কমিটি লিমিটেডের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে মোট আসন ছিল ৪৯টি। বাম, বিজেপি ও কংগ্রেস সম্মিলিত ভাবে পায় ৩৭টি আসন। বাকি আসনগুলিতে জয়লাভ করেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা।
কৃষ্ণনগর লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি আবার এলাকার দলীয় সভাপতিও। সেই মহুয়ার এলাকায় রাম-বাম হাত মিলিয়ে হারিয়ে দিল তাঁরই দলের সমর্থিত প্রার্থীদের। অথচ, এ বারের সমবায় সমিতির নির্বাচন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কারণ ২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম নির্বাচন হল এখানে। এর আগে পরিচালনমণ্ডলী আলোচনার মাধ্যমে স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করত।
করিমপুর ২ ব্লকের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন কিশোরপুর সমবায় সমিতিতে ভোটারের সংখ্যা ১২১৯ জন। রবিবারের নির্বাচনের ফল বলছে, ৪৯টি আসনের মধ্যে বাম, বিজেপি, কংগ্রেস জোট ৩৭টি আসনে জয়লাভ করে। তৃণমূল পায় মাত্র ১২টি আসন। মোট প্রদত্ত ভোটের নিরিখে ৬৮ শতাংশ ভোট যায় বাম, বিজেপি এবং কংগ্রেস জোটের দখলে। শাসকদল পায় ৩২ শতাংশ ভোট।
তৃণমূলকে রুখতে যে ভাবে বিরোধী বাম এবং কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সমবায় দখল করল, স্বভাবতই তার দিকে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল নেতাদের একটি অংশ। অন্য দিকে, সমবায় নির্বাচনকে ধর্তব্যের মধ্যে আনার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না জেলা তৃণমূল নেতৃত্বেরই অন্য একটি অংশ। তাঁদের আবার দাবি, মাত্র বারোশো ভোটারের মতিগতি বিশ্লেষণ করে লোকসভার মতো বিশাল ভোটের গতিপ্রকৃতি মাপতে যাওয়া বোকামো। বরং, এই জোটকে রাম-বাম জোট হিসাবে তুলে ধরার কথাই ভাবছেন তারা।
বামেদের সঙ্গে সরাসরি হাত মেলানোর কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করছে না বিজেপিও। তাদের দাবি, তৃণমূল বিরোধী হিসাবে গোটা রাজ্যে বিজেপিকেই মানুষ স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই বামেদের সঙ্গে হাত মেলানোর প্রয়োজন নেই। নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, ‘‘তৃণমূল বিরোধী শক্তি একত্রিত হয়ে ভোটে লড়েছে। রাজ্যে বামেদের কোনও অস্তিত্বই নেই। তাই জোটের কোন প্রশ্ন আসে না।’’ সিপিএমের নদিয়া জেলা কমিটির সম্পাদক সমীর দে বলেন, ‘‘বামেরা একক ক্ষমতায় যতগুলি আসনে পেরেছে লড়াই করেছে। আমরা বেশ কয়েকটা আসন জিতেছি।’’ কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন, ‘‘বাম, কংগ্রেস যৌথ ভাবে বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছিল। স্বভাবতই ককটেল জোটের থেকে কিছু আসন কম আমরা পেয়েছি। মানুষ যা বোঝার বুঝে নিয়েছেন। লোকসভায় এর উত্তর নিশ্চয়ই পাবে রামধনু জোট।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy