অযোধ্যা মামলায় রায় দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতি। বাঁ দিক থেকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক ভূষণ, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে এবং অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস আব্দুল নাজ়ির। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত সাত হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন অযোধ্যা মামলায় রায় দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতি। তাঁদের মধ্যে চার জনই অবসর নিয়েছেন। আর এক জন বর্তমান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। কিন্তু এই পাঁচ জনের মধ্যে মাত্র এক জনই সোমবার অযোধ্যায় যাচ্ছেন রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে।
২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছিল। তিনি বর্তমানে রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ। ওই সাংবিধানিক বেঞ্চের বাকি বিচারপতিরা হলেন— অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক ভূষণ, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস আব্দুল নাজ়ির এবং বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র রিপোর্ট বলছে, সোমবার, ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অসমে নিজের বাড়িতে থাকবেন রঞ্জন গগৈ। ওই দিন তাঁর মায়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজে ব্যস্ত থাকবেন তিনি। আব্দুল নাজ়ির বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল। তাঁরও পূর্বনির্ধারিত কিছু থাকায় তিনি রামমন্দিরের উদ্বোধনে থাকতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন। অবসরের পর থেকেই নাগপুরে থাকেন এসএ বোবদে। তিনি অবশ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু জানাননি। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে থাকার কথা বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের।
পাঁচ বিচারপতির মধ্যে এক মাত্র অশোক ভূষণই জানিয়েছেন যে, অযোধ্যার ‘ঐতিহাসিক’ অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন তিনি। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভূষণ বর্তমানে ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলএটি)-এর চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ওই রায়ে অযোধ্যার মূল বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি ‘রামলালা’কে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ২.৭৭ একরের বিতর্কিত জমি ঘিরে কেন্দ্রের অধিগৃহীত ৬৭ একর জমিও পেয়েছিল হিন্দু পক্ষ। মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলিম পক্ষকে অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই রায় মেনেই নির্মিত হয়েছে রামমন্দির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy