ফাইল চিত্র।
প্রশিক্ষিত কর্মীর অভাবে গ্লোকাল কোভিড হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে ডায়ালিসিস। গুরুতর অসুস্থ কারও ডায়ালিসিসের প্রয়োজন হলে রেফার করে দেওয়া হচ্ছে কল্যাণীর কার্নিভাল কোভিড হাসপাতালে। এতে যেমন অনেক রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে, ডায়ালিসিস হতে দেরি হচ্ছে তেমনই রোগীর পরিজনদের হেনস্থা হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। গাড়়ির ব্যবস্থা করে তাঁদের এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে ছুটতে হচ্ছে।
কৃষ্ণনগরের গ্লোকাল হাসপাতালে কিছু দিন আগে থেকেই ডায়ালিসিস যন্ত্র বিকল হতে শুরু করে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, একাধিক বার মিস্ত্রি নিয়ে এসে সেগুলি ঠিক করা হয়। কিন্তু আপাতত সেখানকার তিনটি ডায়ালিসিস যন্ত্রের মধ্যে একটি পুরোপুরি খারাপ হয়ে গিয়েছে। আর বাকি যে দু’টি যন্ত্র ঠিক আছে সেগুলি প্রশিক্ষিত কর্মীর অভাবে চালানো যাচ্ছে না।
জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, ডায়ালিসিস করতে গেলে হাসপাতাল-প্রতি এই বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অন্তত দু’জন কর্মীর প্রয়োজন। কিন্তু এই মুহূর্তে জেলায় কোভিড হাসপাতালের জন্য মাত্র দু’জন কর্মী আছে। যেহেতু প্রথম থেকেই গ্লোকালের যন্ত্রগুলি সমস্যা করছিল তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, ওই দুই কর্মীকেই কার্নিভাল কোভিড হাসপাতালে রাখা হবে এবং প্রয়োজন হলে ডায়ালিসিস সেখানেই করা হবে। গ্লোকালে ডায়ালিসিস বন্ধ হয়ে যায় ও রোগীদের কার্নিভালে রেফার করা শুরু হয়। কিন্তু এখন যে হারে রোগী ভর্তি হতে শুরু করেছে তাতে এই রকম ভাবে একটা হাসপাতালের উপর ভরসা করে আর চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাতে কার্নিভালের ডায়ালিসিসে অসম্ভব চাপ পড়়ছে এবং রোগীদেরও ভোগান্তি হচ্ছে। তার উপর কল্যাণীর যক্ষ্মা হাসপাতালে তিনশো শয্যার কোভিড হাসপাতালে চালু হলে সেখানকার ডায়ালিসিসের রোগীরাও রেফার হয়ে কার্নিভালে আসবেন। তখন পরিস্থিতি শোচনীয় হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “ডায়ালিসিস করতে প্রতি হাসপাতালে অন্তত দু’জন করে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট প্রয়োজন। সেই মতো আমরা রাজ্যের কাছে অতিরিক্ত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট চেয়ে পাঠিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy