Advertisement
E-Paper

বিদ্যালয়ে ধর্মীয় সংগঠনের অনুষ্ঠান, বিতর্ক

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি ধর্মীয় সংগঠনের অনুষ্ঠানের অনুমোদন কী ভাবে দিলেন? বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, বিদ্যালয় চত্বরে যে মাঠ রয়েছে, সেটা কল্যাণী পুরসভার।

কল্যাণী শিক্ষায়তন বিদ্যালয়ে।

কল্যাণী শিক্ষায়তন বিদ্যালয়ে। —ছবি : সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৫৯
Share
Save

কল্যাণী শিক্ষায়তন বিদ্যালয়ে ধর্মীয় সংগঠনের একটি অনুষ্ঠান নিয়ে বির্তক দেখা দিল। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনায় শিক্ষামহলের একাংশ। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশ্ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমোদন সংশ্লিষ্ট স্কুলের কর্তৃপক্ষ দিলেন কীভাবে?

রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ওই ধর্মীয় সংগঠনের ব্যানার টাঙানো রয়েছে। মূল ভবনের বাইরে বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিল খাওয়ার হলঘরে মূল অনুষ্ঠান চলছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেল, সকাল সাতটা থেকেই ওই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। যে ধর্মীয় সংগঠনের অনুষ্ঠান চলছিল তাঁদের কাছে জানা গেল, সংগঠনের তরফে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে। কলকাতা, সোদপুর, বনগাঁ, হুগলি, কৃষ্ণনগর-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৫০০ ভক্ত অনুষ্ঠানে এসেছেন। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। পুরো অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা কল্যাণীর এ-টু মার্কেটের ব্যবসায়ী অনুপ দাস বলেন, "বিদ্যালয়ের কাছ থেকে লিখিত অনুমোদন নিয়েই আমরা ওখানে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান করছি।"

কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি ধর্মীয় সংগঠনের অনুষ্ঠানের অনুমোদন কী ভাবে দিলেন? বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, বিদ্যালয় চত্বরে যে মাঠ রয়েছে, সেটা কল্যাণী পুরসভার। ওই মাঠেই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ কোনও সমস্যা হওয়ায় কয়েক দিন আগে আবেদনের ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক সুদীপ্ত বিশ্বাস বলেন, "অনুষ্ঠানের আয়োজকরা যে ভাবে বলেছিল, তাতে প্রথমে বুঝতে পারিনি। পরবর্তীতে বুঝতে পেরেছি একটা ভুল হয়ে গিয়েছে। বিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষকও ওঁদের মধ্যে আছেন। তাঁরা বলার পর না করতে পারিনি। তবে ওঁরা যে এই রকম করতে পারেন, সেটা বুঝতে পারিনি।"

বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও বিদ্যালয়েরই প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বিকাশ সামন্তের দাবি, "ওটা কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়। নেতাজিকে কেন্দ্র করে ওই সংগঠন। নেতাজির জীবনদর্শন নিয়ে আলোচনা করেন ওঁরা। তা ছাড়া এখন স্কুল ছুটি। এটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান বলে আমাদের জানা ছিল না। যাই হোক সামনের বছর থেকে আর দেওয়া হবে না।"

জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক দিব্যেন্দু পাল বলেন, “এ রকম হওয়ার কথা নয়। এটা জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়নি। আমিও জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি। তা ছাড়া নির্দেশ আছে মানুষের বা সমাজের প্রয়োজনে যদি বিদ্যালয়কে নিতে হয়, তা হলে শিক্ষা দফতরের কমিশনারের অনুমোদন নিতে হবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kalyani

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}