প্রতীকী ছবি।
সাংবাদিকদের মম্পর্কে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ‘আপত্তিকর মন্তব্যে’র প্রতিবাদে আজ, বুধবার রাস্তায় নামছেন নদিয়া জেলার বেশির ভাগ সাংবাদিক। জেলার দু’টি প্রেস ক্লাব ও দু’টি সংগঠনের পক্ষ থেকে একযোগে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।
কৃষ্ণনগর প্রেস ক্লাব সূত্রে জানানো হয়েছে, বেলা ১১টায় পোস্ট অফিস মোড় থেকে মিছিল করে নদিয়ার জেলাশাসকের দফতরে যাবেন সাংবাদিকেরা। পেশাগত সম্মান ও নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে তাঁর কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হবে।
রবিবার গয়েশপুরে দলের একটি কর্মিসভায় বিক্ষোভের মুখে পড়ে উত্তেজিত মহুয়া ‘দু’পয়সার প্রেস’কে সেখানে ডাকা নিয়ে নেতাকর্মীদের উত্তমমধ্যম দেন। মাইকে তাঁকে বলতে শোনা যায়— ‘কে এই দু’পয়সার প্রেসকে ভিতরে ডেকেছে?’ এর পরেই সমাজমাধ্যমে হইচই শুরু হয়ে যায়। সোমবার প্রেস, ক্লাব কলকাতা তাঁকে ধিক্কার দিয়ে মন্তব্য প্রত্যাহার করার আবেদন জানায়। সে দিনই মহুয়া টুইট করে তাঁর ‘দুঃখজনক হলেও যথার্থ’ ওই মন্তব্যের জন্য ‘ক্ষমাপ্রার্থনা’ করেন এবং সঙ্গে ২ পয়সার কয়েনের ছবি দিয়ে ‘মিম’ তৈরিতে তাঁর পারদর্শিতা বৃদ্ধির কথা জানান। এতে সাংবাদিক মহলে ক্ষোভ আরও উসকে ওঠে।
এর পরেই কৃষ্ণনগর ও কল্যাণী প্রেস ক্লাব, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্টস এবং ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নদিয়া জেলা ইউনিট একযোগে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ তথা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া এই মন্তব্য করে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত সকলকে অপমান করেছেন।
মঙ্গলবারই শান্তিপুরে মৌনী মিছিল বার করেন সাংবাদিকেরা। বিভিন্ন দৈনিক ও পাক্ষিক সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল এবং নিউজ পোর্টালের প্রতিনিধিরা তাতে শামিল হন। দুই পয়সার ছবি ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে ডাকঘর মোড়ের কাছে নেতাজি মূর্তি থেকে শুরু হয়ে শান্তিপুর স্টেশনের কাছে গোলপার্ক পর্যন্ত হাঁটেন তাঁরা।
কৃষ্ণনগর প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নিলয় ভট্টাচার্য বলেন, “মহুয়া মৈত্রের ওই মন্তব্য অত্যন্ত আপত্তিজনক। ওঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।” একই দাবি তুলেছেন কল্যাণী প্রেস ক্লাবের সম্পাদক সুরজিৎ বিশ্বাসও। ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নদিয়া জেলা ইউনিটের সম্পাদক সুখেন্দু আচার্যের মতেও, সাংবাদিকদের সম্পর্কে এমন মনোভাব প্রকাশের জন্য মহুয়ার ক্ষমা চাওয়া উচিত। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস-এর নদিয়া জেলা কমিটির সভাপতি অমিত ঘোষ বলেন, “সব দিক বিচার করে সকলে মিলে প্রতিবাদ মিছিলে ডাক দেওয়া হয়েছে। মহুয়া মৈত্রকে ক্ষমা চাইতেই হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy