প্রতীকী ছবি।
‘দিদিকে বলো’— তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই কর্মসূচি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শুনতে হল দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ।
আগামী ১০০ দিনে দলের এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে পৌঁছতে হবে ১০ হাজারের বেশি গ্রামে। রাতও কাটাতে হবে সেখানে। নজরুল মঞ্চে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক সেরে সোমবার এ কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১০০ দিনে তৃণমূলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও ‘বরিষ্ঠ’ নেতারা পশ্চিমবঙ্গের ১০ হাজারেরও বেশি গ্রামে যাবেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন, তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনবেন। পাশাপাশি সরাসরি তাঁর কাছে যাতে পৌঁছে যেতে পারে জনতার অভাব-অভিযোগের কথা, সে জন্য একটি ফোন নম্বর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই নম্বরে ফোন করে অভাব-অভিযোগের কথা বা অন্য যে কোনও বক্তব্য জানানো যাবে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান। ওই ফোনে জানালে খবর সরাসরি তাঁর কাছেই পৌঁছবে বলে জানিয়ে মমতা আশ্বাস দেন, তিনি সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবেন। তাঁর কথায়, ‘‘সবটা যে পারব, এমন তো বলা যায় না। কিন্তু যতটা পারি সমাধান করে দেব।’’
এ দিন তৃণমূলনেত্রীর দেওয়া নম্বরে ফোন করেন জলঙ্গির খয়রামারি পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান তৃণমূলের মনোজ হালদার। তিনি ওই পঞ্চায়েত সদস্য হাবিবুর রহমানের নম্বর থেকে ফোন করেছিলেন। মনোজ হালদার বলছেন, ‘‘আমরা গোপনে খবর পেয়েছি, কোনও কাজ না করেই সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন প্রধান। সকলের জন্য আবাস গৃহ-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকেও কাটমানি নিয়েছেন। বিষয়টি জলঙ্গির বিডিওকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। তাই বিষয়টি সরাসরি ফোন করে দিদি’র কাছে অভিযোগ করেছি।’’ এ দিন পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন দলীয় সদস্যরা। প্রধান তৃণমূলের সেলিনা বিবি বলছেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে।’’
জলঙ্গীর বিডিও কৌস্তবকান্তি দাস বলছেন, ‘‘পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে প্রধানের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। সেখান থেকেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy