প্রবীণকে সহায়তা। নিজস্ব চিত্র।
প্রবীণ নাগরিকদের করোনার টিকা দেওয়া ক্ষেত্রে সরকার যে সব নিয়মকানুন মানতে বলেছে তা স্থানীয় প্রশাসন ও পুরসভা অনেকাংশে মানেনি বলে অভিযোগ উঠেছে কল্যাণীতে।
পুরসভার অধীনে এখানে মোট ২১টি ওয়ার্ড আছে। এই সব ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সোমবার ঋত্বিকসদনে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল। অভিযোগ, সেখানে দূরত্ববিধিও মানা হয়নি। একটা ঘরে পাশাপাশি চেয়ারে অত জন মানুষকে বসানো হয়েছে। গেটে ঢোকার মুখে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থাও ছিল না। একই স্বেচ্ছাসেবক সবাইকে ধরে-ধরে বাইরে আনছেন বা ভিতরে নিয়ে যাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রেই কোভিড বিধি মানা হয়নি।
এ দিন যাঁরা টিকা নিতে আসেন তাঁদের কারও বয়স ৮৮, কারও ৮০, কেউ বা ৭৮ বছরের। একটা ঘরে এইরকম কয়োকশো বৃদ্ধবৃদ্ধার টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ফলে ভিড়ের জন্য তাঁদের অনেকেই সংক্রমিত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, কয়েকটি ওয়ার্ড নিয়ে আলাদা-আলাদা একাধিক টিকাকেন্দ্র কেন করা হল না? তা ছাড়া, যে সব প্রবীণ মানুষ শারীরিক ভাবে প্রায় অথর্ব তাঁদের বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবিও এ দিন উঠেছে। কারণ, হাঁটাচলা করতে খুবই সমস্যা হয় এমন অনেকেই এ দিন অত্যন্ত কষ্ট করে টিকা নিতে এসেছিলেন। ৯৭ বছরের এক প্রবীণ নাগরিককেও এ দিন কেন্দ্রে আসতে হয়েছে।
পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুশীল তালুকদার অবশ্য বলেন, “২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ১০টি ওয়ার্ডের প্রবীণদের এ দিন আসতে বলা হয়েছিল। ফলে মারাত্মক ভিড় হয়নি। আমরা যেমন ব্যবস্থা করেছিলাম তাতে সংক্রমণ ছড়ানোর কথা নয়। আর কারও আসতে অসুবিধা হলে পুরসভা থেকে তাঁদের নিয়ে আসার ব্যবস্থা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আলাদা টিকাকেন্দ্রের ব্যবস্থাও হবে।”
কল্যাণী মহকুমার এসডিও হীরক মণ্ডলের কথায়, “আজ ৩০০ প্রবীণ নাগরিকের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের পরিকাঠামোর কিছুটা অভাব রয়েছে। তবুও পুরসভা যদি দু’টি-তিনটি ওয়ার্ড থেকে ২০০ থেকে ২৫০ জনের নামের তালিকা দেয়, তা হলে আমরা আলাদা-আলাদা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy