পর্যটকদের মাটিতে ফেলে পর পর গুলি করছে এক জঙ্গি। প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার করছেন বাকি পর্যটকেরা। এমনই এক হৃদয়বিদারক ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই হইচই সমাজমাধ্যমে। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করা ওই ভিডিয়োয় দাবি, দৃশ্যটি পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভাইরাল হওয়া অস্পষ্ট ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, উপত্যকা এলাকায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক বন্দুকধারী। তাঁর সামনেই মাটিতে বসে এবং শুয়ে রয়েছেন কয়েক জন। শোনা যাচ্ছে পর পর গুলি চলার আওয়াজ এবং মানুষের আর্তচিৎকার। দূর থেকে সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দাবি করা হয়েছে, ঘটনাটি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের হত্যালীলার সময়ের ভিডিয়ো। ভিডিয়োয় বন্দুকধারী যে অবয়বকে দেখা যাচ্ছে, সে এক জন জঙ্গি এবং মাটিতে পড়ে থাকা মানুষেরা খুন হওয়া পর্যটক। ‘সচিন গুপ্ত’ নামের ‘ভেরিফায়েড’ এক্স হ্যান্ডল থেকে ১১ সেকেন্ডের ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে লেখা, ‘‘পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার সময়ের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, এক জন জঙ্গি মাটিতে বসে থাকা পর্যটকদের গুলি করছে। নিহতদের মধ্যে আইবি অফিসার, নৌবাহিনী অফিসার এবং আইএএফ জওয়ান রয়েছেন।’’
আরও পড়ুন:
ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর ইতিমধ্যেই বহু মানুষ সেটি দেখেছেন। ভিডিয়োটি দেখে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। জঙ্গি নিধনের দাবিও তুলেছেন অনেকে। তবে ভিডিয়োটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
উল্লেখ্য, জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত কাশ্মীরের পহেলগাঁও। মঙ্গলবার দুপুরে কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার ওই পর্যটনকেন্দ্রের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনাটি ঘটে। সেনাকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, বৈসরন উপত্যকায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের একটি দলকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা পর্যটকদের উপর গুলি চালায়। এখনও পর্যন্ত সেই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই পর্যটক। হামলায় কেউ স্বামীকে হারিয়েছেন, কেউ পুত্রকে! মাত্র কয়েক মিনিটের তাণ্ডবের নেপথ্যে ছিল মাত্র চার থেকে ছ’জন জঙ্গি। স্থানীয় সূত্রে খবর, জঙ্গিদের পরনে ছিল পুলিশের পোশাক। কেউ কেউ আবার সেনার পোশাক পরেও এসেছিল। সকলের হাতে ছিল একে-৪৭। এই ঘটনায় দেশ জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
জম্মু এবং কাশ্মীর পুলিশের দায়ের করা একটি এফআইআরে বলা হয়েছে, হামলাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। বৈসরন উপত্যকার আশেপাশের পাইন বন থেকে সামরিক পোশাকে থাকা বন্দুকধারীরা বেরিয়ে এসে পর্যটকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। জঙ্গিরা প্রায় ৩০ মিনিট ঘটনাস্থলে ছিল। তার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায়।