—প্রতীকী চিত্র।
শারীরিক বেশ কিছু অসুবিধার জন্য শাশুড়ি পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁর চেনা এক কবিরাজকে দেখাতে। বৌমার বাবা-মাকেও ওই কবিরাজের কাছে পাঠিয়েছিলেন প্রৌঢ়া। অভিযোগ, সেই কবিরাজের দেওয়া ওষুধ খাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে শারীরিক অসুবিধা শুরু হয় তিন জনেরই। ওষুধ সেবনের কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে প্রাণ হারান ওই বধূর বাবা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বধূ এবং তাঁর মাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মায়েরও। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই মহিলাও। নদিয়ার নাকাশিপাড়ার ঘটনা। কবিরাজের সঙ্গে যোগসাজশ করে বধূর বাবা-মাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে মহিলার শাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরি কাঁঠালবেড়িয়ার দাসপাড়ার বাসিন্দা কৃষ্ণ দাস। তিনি মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন কালীগঞ্জে। কৃষ্ণ দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ। মাম্পিরও বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, শাশুড়ির পরামর্শে এক কবিরাজের কাছে গিয়েছিলেন মাম্পি এবং তাঁর বাবা-মা। কবিরাজ তাঁদের শারীরিক সমস্যা শোনার পর কিছু ওষুধ খেতে দেন। সোমবার সেই ওষুধ সেবনের পরেই শুরু হয় বিপত্তি। একই সঙ্গে মা-বাবা এবং মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের দ্রুত বেথুয়াডহরির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার রাতেই মৃত্যু হয় মাম্পির বাবার। মায়ের শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে দ্রুত শক্তিনগর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু, তাঁরও মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসা চলছে মাম্পির। একই পরিবারের দু’জনের মৃত্যু এবং এক জনের অসুস্থ হওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে যায় নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মাম্পির বিয়ে হয়েছে প্রায় তিন বছর। তাঁর একটি কন্যাসন্তান আছে। পারিবারিক অশান্তি থেকে পরিকল্পনা করে এই খুন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। গুরুতর অসুস্থ মাম্পি হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে শাশুড়ির দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ভাবে আমায় চাপ দিত শাশুড়ি। তাতে খুব একটা সুবিধা করতে না পেরে কবিরাজের মাধ্যমে বিষ ওষুধ খাইয়ে আমাকে এবং আমার বাবা-মাকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। মা-বাবা মারা গিয়েছে। এখন আমি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছি। ওর যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy