ভাটি থেকে গুড় বের করে আনছেন মেয়েরা।—নিজস্ব চিত্র
স্থানীয় চোলাইয়ের কারবারির মৃত্যুতে ছুটি দিয়েছিল স্কুল। এ বার সেই গ্রামেই চোলাই বন্ধে ডাক দিয়ে পথে নামলেন মহিলারা।
সুতির আলোয়ানিতে চোলাই মদের রমরমা নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন অনেকেই। ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে শুক্রবার। ওই দিন চোলাই খেয়ে মৃত্যু হয় এক যুবকের। তারপর থেকে ক্ষেপে ওঠেন মহিলারা। মঙ্গলবার পথে নামেন তাঁরা। ফলে বন্ধ হয়েছে ভাটি ও চোলাই বিক্রি।
গ্রামে হাজার খানেক মানুষের বাস। বেশির ভাগ লোকজনই দিনমজুর ও কৃষিজীবী। গ্রামের এক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সম্পাদক মায়ারানি হালদার জানান, এক বছরে চার জনের মৃত্যু হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত মদ খাওয়ার কারণে। সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে এক চোলাই কারবারির। কিন্তু তাতেও শিক্ষা নেয়নি গ্রামের যুবকেরা। তাই ঠিক করেন তাঁরাই রুখে দাঁড়াবেন।
মেয়েরা জানান, পয়সা না থাকলে বাড়ি থেকে ধান, চাল চুরি করে মদ খাওয়ার ঘটনাও ঘটছে গ্রামে। বাধা দিলে বাড়ির লোকজনকে ধরে মারধরও করছে। এর থেকে মুক্তি পথে নেমেছেন তাঁরা।
গ্রামে অন্তত পাঁচ জায়গায় চোলাই বিক্রি হয়। সেই ঠেকে হাজির হচ্ছে ছেলেরা। বাইরের গ্রাম থেকেও লোকজন আসছে। ঘরে অশান্তি বাড়ছে। ‘‘তার থেকে রেহাই পেতে পথে নেমেছি আমরা।’’ বলছেন কনক সরকার।
গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক দেবাশিস সরকার জানান, বহু বার চেষ্টা হয়েছে। প্রশাসনকেও একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্তু চোলাইয়ের কারবার বন্ধ হয়নি। বহু চেষ্টা করেও এ দিন আবগারি দফতরের রঘুনাথগঞ্জের ওসি-র সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। রঘুনাথগঞ্জের দু’দুটি এক্সাইজ দফতরও এ দিন তালা বন্ধ ছিল। তবে দফতরের এক কর্তা জানান, চোলাইয়ের ভাটি কারা চালাচ্ছে খোঁজ নিয়ে দেখছেন। প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy