—প্রতীকী চিত্র।
বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন ঋণ নিয়ে। চাহিদা মেটাতে একাধিক ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু প্রতি মাসে ঋণের সুদ দেওয়ার সময় হলেই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হত তাঁর। সেই ঋণের কিস্তির টাকা দেওয়া নিয়ে অশান্তিতেই স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দরজা-জানলা বন্ধ করে দুই নাবালক সন্তানের সামনে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের পর তাঁর গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেন তিনি। মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা থানার কান্দিপাড়া এলাকার ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম সীমা বিবি। বছর আটেক আগে আওয়াল শেখ নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। পেশায় দিনমজুর আওয়াল এবং সীমার এক পুত্র এবং এক কন্যাসন্তান রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে পরিবারের অন্যান্য সদস্য দেখেন, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় ঝুলছেন ওই বধূ। শিশুপুত্রের কান্না এবং চিৎকারে প্রতিবেশীরা খোঁজ নিতে গিয়ে ওই বধূকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা সীমাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে দাম্পত্য কলহের জেরে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, নানা ঋণপ্রদানকারী সংস্থা থেকে স্ত্রীকে ঋণ নিতে বাধ্য করেছেন অভিযুক্ত। কিন্তু মাসের শুরুতে ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময় এলেই স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করতেন স্বামী। মঙ্গলবারও এমনই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, কিস্তির টাকা চাইতে গেলে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন স্বামী। যদিও তার পরেও গচ্ছিত কিছু টাকা নিয়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করে আসেন স্ত্রী। কিন্তু বাড়ি ফিরতেই শুরু হয় অশান্তি।
দুই সন্তানের সামনে স্ত্রীকে মারধরের পর তাঁর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মাকে খুন হতে দেখে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে ওই দম্পতির ছয় বছরের শিশুপুত্র। তার কান্না শুনে প্রতিবেশীরা খোঁজ নিতে গিয়ে ওই কাণ্ড দেখে খবর দেয় থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। শিশুর বয়ানও রেকর্ড করা হচ্ছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। তবে এখনও গ্রেফতারির খবর মেলেনি।
মৃতার দাদা সুরজ শেখ বলেন, ‘‘ইচ্ছামতো পয়সা নষ্ট করত আওয়াল। বোনকে দিয়ে জোর করে ঋণ নেওয়াত বিভিন্ন জায়গা থেকে। কিন্তু, কিস্তির টাকা চাইতে গেলেই অশান্তি করত। গতকাল (মঙ্গলবার) বোন কিস্তির টাকা দেওয়ায় ওকে খুন করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy