—প্রতীকী চিত্র।
বাবার সঙ্গে কাঁকড়া ধরতে নদীতে গিয়েছিল কিশোর। আচমকা তাকে টেনে নিয়ে নদীতে নেমে যায় একটি কুমির। দু’ দিন পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার সেই কিশোরের দেহ উদ্ধার হল ঘটনাস্থল থেকে চার কিলোমিটার দূরে। ১৩ বছরের কিশোর নদী থেকে খানিক দূরে পড়েছিল রক্তাক্ত অবস্থায়। শোকস্তব্ধ কিশোরের পরিবার। ভেঙে পড়েছে গোটা গ্রাম।
সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের জিপ্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানা এলাকায় ওই কুমির হানার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম মানিক ভক্তা। ১৩ বছরের ওই কিশোর তার বাবা হুকুম ভক্তার সঙ্গে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল। দুপুরে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল নদীতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সে দিন দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ বাবার সঙ্গে নদীতে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল মানিক। আচমকা তাকে কুমির টেনে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বন দফতর এবং পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। সেই থেকে টানা তল্লাশি চলছে। ডিএফও মিলন মণ্ডল জানান, তাঁরা বিকেল ৪টা নাগাদ খবর পান।
টানা তল্লাশির পর অবশেষে তার খোঁজ মিলেছে। তবে মৃত অবস্থায়।
উল্লেখ্য, ১২ বছর বাদে সুন্দরবনে কুমির গণনার কাজ করেছে বন দফতর। তাতে আগের চেয়ে সুন্দরবনে কুমিরের সংখ্যাবৃদ্ধির তথ্য উঠে এসেছে। কুমির শুমারিতে ভারতীয় সুন্দরবনে ১৪১টি কুমিরের উপস্থিতি জানা গিয়েছিল। তবে একেবারে ছোট কুমিরদের গণনা থেকে বাদ রাখা হয়েছিল। এ বার সংখ্যাটা বেশ খানিকটা বেড়েছে বলে দফতর সূত্রের খবর। কুমির গণনার হিসাব অনুযায়ী, সুন্দরবনে ১৬৮টি কুমির রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy