তেহট্টে সুকান্ত মজুমদার ও মিঠুন চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র
যা আশঙ্কা ছিল, সেটাই সত্যি হল। অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখার জন্য ভিড়ের চোটে জিতপুর মোড়ে রাস্তা বন্ধ করতে বাধ্য হল পুলিশ। ঠেলাঠেলি, চেঁচামেচি, বিশৃঙ্খলা কিছু বাদ গেল না। ভিড়ের চাপে মঞ্চের কাছে কিছুক্ষণ আটকে রইল মিঠুনের গাড়ি। সভামঞ্চের সামনে থেকে সব চেয়ারও সরিয়ে নিতে হল।
বুধবার বিকেলে তেহট্টের জিতপুর মোড়ে রাস্তার পাশেই দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও মিঠুনকে নিয়ে সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। তার আগে হাউলিয়া পার্ক মোড় থেকে মিছিলে সুকান্ত থাকলেও মিঠুন ছিলেন না। ‘মহাগুরু’ এসে পৌঁছতে রাস্তা, পাঁচিল, আশপাশের বাড়ির ছাদে-বারান্দায় ভিড় উপচে পড়ে। তবে বক্তৃতা তিনি তেমন কিছু করেননি। দু’একটি বাংলা ও হিন্দি ‘ডায়লগ’ শুনিয়ে তিনি বলেন, “যা হয়েছে ভুলে যান। চলুন, সবাই মিলে নতুন বাংলা তৈরি করি।” তার পর দু’কলি গেয়েও দেন, “ছোড়ো কাল কি বাতেঁ, কাল কি বাত পুরানি...।”
বরং অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন সুকান্ত। তৃণমূলের দুই বিধায়ক তাপস সাহা ও বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে থাকা মানিক ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গ টেনে তাঁর দাবি, “চোরে-চোরে মাসতুতো ভাই ওরা।” সে প্রসঙ্গে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা বলেন, “কে কী বলল, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। এই জনসভার প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে পড়বে না।”
রাস্তার ধারে এ রকম সঙ্কীরর্ণ জায়গায় বিজেপিকে কেন সভা করার অনুমতি দিল পুলিশ, সেই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে উঠেছে। বিশেষত যখন মঙ্গলবারই বগুলার সভায় মিঠুনকে দেখতে বাঁধভাঙা ভিড় হয়েছিল। তারা মাঠ না পেয়ে রাস্তার ধারে সভা করতে বাধ্য হয়েছে বলে আগাগোড়া দাবি করে আসছে বিজেপি। এ দিন তাঁর বক্তৃতার শুরুতেই সুকান্ত বলেন, “এই পুলিশ-প্রশাসন কোনও স্কুলের মাঠ আমাদের পাইয়ে দেয়নি। এই ভিড়ের মধ্যে যদি কারও শরীর অসুস্থ হয়, তার জন্য দায়ী থাকবে ‘চটি-চাটা’ পুলিশ প্রশাসন।”
পুলিশ অবশ্য দাবি করছে, মিঠুন ঢোকার সময়ে একটু সমস্যা হলেও সব কিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এ বার তাদের চালু রেওয়াজ অনুযায়ী তৃণমূল পাল্টা সভা করতে পারে বলে দলীয় সূত্রের খবর। সে ক্ষেত্রেও কি এ রকম বিশৃঙ্খলারই পুনরাবৃত্তি হবে? অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃশানু রায় বলেন, “তৃণমূলের জনসভা নিয়ে এখনও কিছু জানি না। তারা অনুমতি চাইলে চিন্তাভাবনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy