আঁধারে নীলগাইয়ের খোঁজ। —নিজস্ব চিত্র।
ঝোপঝাড় ছেড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময়ে নির্বিষ একটা টোটোর সামনে পড়ে গিয়েছিল সে। তাগড়াই চেহারা, খাড়া কান, হাল্কা শিং জ্যোৎস্নায় যেন নীলচে আভা ঠিকরে পড়ছে গায়ে।
গরু তো নয়, এমন হরিণ-পানা চেহারাও দেখেনি ফরাক্কার মানুষ? কে সে?
সাত জন্মে নীলগাইয়ের দর্শন না পাওয়া ফরাক্কা আর আশপাশের গাঁ-গঞ্জ বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভেঙে পড়েছে নীল গাই দর্শনে।
আর বেপথু জন্তুটা চোখ দিয়ে গিলতে আসা ভিড়টাকে এড়িয়ে তাকতে ফরাক্কা ব্যারাজের লাগোয়া আধা-জঙ্গলে সেঁদিয়ে রয়েছে প্রাণ ভয়ে। স্থানীয় বন ধপতররে তেমন হুঁশ নেই। হেলেদুলে বিট অফিসার এসেছেন বটে, তবে তিনি নিজেও নীল গাইয়ের সঙ্গে তেমন আলাপ জমাতে পারেননি। কথা বার্তায় স্পষ্ট, নীলগাই তিনি নিজেও কোনও দিন চাক্ষুষ করেননি। আর তাই ব্যারাজের পাশে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে ফরাক্কার রেঞ্জ অফিসার শিবপ্রসাদ সিংহ বলছেন, ‘‘কী করে এল, বুঝতে পারছি না, সম্ভবত গঙ্গায় ভেসে এসেছে!’’ তবে, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নীলগাই সাঁতারে তেমন দড় নয়, তাই ও পথে ভেসে আসার সম্ভাবনা কম, বরং ঝাড়খণ্ডের সীমানা পেরিয়ে কোনওরকমে মাঠ-পথে চলে এসেছ বলেই মনে করছেন তাঁরা।
তবে, ঢাল তরোয়ালহীন বন দফতর যে তাকে ধরে কোথাও পুনর্বাসন করবে সে সম্ভাবনা কম। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছেন, ‘‘কৌতূহলি মানুষের আদরের ঠেলায় প্রাণীটি বেঘোরে মরে না যায়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy