স্কুলের সামনের এই দোকান নির্মাণের অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
গার্লস স্কুলের মূল ফটকের দুই পাশে পূর্ত দফতরের জায়গায় অবৈধ ভাবে তৈরি হয়েছে একাধিক দোকান। এমনকি সেখানে দোতলা বাড়ি তৈরি করেও চলছে দেদার ব্যবসা। আর এ ভাবে অবৈধ নির্মাণের ফলেই প্রতিদিন স্কুল শুরু ও শেষের সময়ে ছাত্রীদের নাজেহাল হতে হচ্ছে স্কুলে এসে। গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন জলঙ্গি বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, কেবল দুপাশের দখলদারিতে ভিড় বাড়ছে এমনটা নয়, ওই দোকানগুলির সামনে স্কুল শুরু থেকে শেষের সময় কম বয়সী বাইকারদের ভিড় বাড়ছে। সেখান থেকে ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে উড়ে আসছে নানা কটূক্তি। গোটা বিষয়টি নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। প্রশাসনের তরফ জানানো হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জলঙ্গি বাজারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জলঙ্গি বালিকা বিদ্যালয়। দু'হাজারেরও বেশি ছাত্রী লেখাপড়া করে সেখানে। কিন্তু বিদ্যালয়ে ঢোকার পথেই দুপাশে পূর্ত দফতরের জায়গায় গজিয়ে উঠেছে একাধিক দোকান। স্কুল শুরু থেকে শেষের সময়ে ওই পথে চরম জটলা দেখা দেয়। অনেক সময় দুর্ঘটনার কবলেও পড়তে হয় পড়ুয়াদের বলেই অভিযোগ শিক্ষিকাদের। এখানেই শেষ নয়, ঠিক ওই সময়ে ভিড়ের মাঝে এলাকার কম বয়সি রোমিওদের ভিড় বাড়ে বলেও অভিযোগ। দ্রুতগতির বাইক নিয়ে সেখানে দাপাদাপি শুরু হয়। আর গোটা ঘটনা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে থাকেন শিক্ষিকারা। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিউটি গড়াই বলছেন, ‘‘প্রতিদিন একটা আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে সময় কাটে আমাদের। চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিয়ে ছাত্রীদের স্কুলে প্রবেশ করতে হয়। আর ওই দোকানগুলির সুযোগ নিয়ে বেশ কিছু তরুণ যুবকেরা ভিড় জমায় ওই চত্বরে। এমনকি সেখান থেকে উড়ে আসে অশালীন কথাবার্তাও। ফলে গোটা বিষয়টি দিন কয়েক আগেই জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।’’
যে সময়ে মুখ্যমন্ত্রী অবৈধ নির্মাণ, ফুটপাথে দখলদারি নিয়ে সরব হয়েছেন, ঠিক সেই সময়ই স্কুলের তরফে এমন অভিযোগ। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী সরব হবার আগেই প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন। ওই এলাকার চোয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীশানি খাতুন বলেন, ‘‘আমাদের কাছেও অভিযোগ এসেছে স্কুলের তরফে। গোটা বিষয়টি নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। প্রশাসনকে বলব, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’’ এলাকার বাসিন্দাদের দাবি এই ঘটনা নিয়ে এর আগেও একাধিকবার দরবার করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন থেকে পুলিশের কাছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy