স্কুলের মধ্যে মারামারিতে ভাঙল চেয়ার-টেবিল, জখম প্রায় সাত। প্রতীকী চিত্র।
স্কুলে পরীক্ষা নেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি! স্কুলে ঢুকে শিক্ষকদের মারধরের অভিযোগ উঠল অভিভাবক ও গৃহশিক্ষকদের বিরুদ্ধে। পাল্টা অভিযোগ করলেন অভিভাবকেরাও। ঘটনাস্থল নদিয়ার গাংনাপুরের সরিষাডাঙা উচ্চবিদ্যালয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট সময়ের আগে তৃতীয় ইউনিট টেস্টের পরীক্ষার আয়োজন করার প্রতিবাদে কয়েক জন গৃহশিক্ষক ও অভিভাবক ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই স্মারকলিপি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ালেন শিক্ষক এবং অভিভাবকেরা। আহত হন উভয় পক্ষের বেশ কয়েক জন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই স্কুলের সাত শিক্ষক এবং দুই গৃহশিক্ষক আহত হন। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে গৃহশিক্ষকদের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। পাশাপাশি স্কুলের পঠনপাঠন অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৯ অগস্ট তৃতীয় ইউনিট টেস্টের পরীক্ষার দিন নির্দিষ্ট ছিল। কিছু অসুবিধার কারণে তা ২৪ অগস্ট এগিয়ে আনেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। তবে এই ঘটনার সূত্রপাত প্রধানশিক্ষকের অনুপস্থিতি ঘিরে। নির্দিষ্ট দিন এবং সময় নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা থাকলেও ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রধানশিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বচসায় জড়ান শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। শুরু হয় স্কুলের চেয়ার-টেবিল, আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। অভিভাবকদের দাবি, পুজোর ছুটিতে আগাম বেড়াতে যাওয়ার সুবিধার জন্যই পরীক্ষা এগিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষকেরা।
ওই স্কুলের শিক্ষক কৌশিক বিশ্বাসের দাবি, আলোচনার নাম করে স্কুলে ঢুকে শিক্ষকদের নির্দিষ্ট কক্ষের ভিতরেই তাঁদের উপর আক্রমণ করেন অভিভাবক এবং গৃহশিক্ষকরা। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা যথেষ্ট নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’’ অন্য দিকে সমীর দত্ত নামে এক গৃহশিক্ষক এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘অবৈধ ভাবে স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনের বিরোধিতা করায় আমাদের ফাঁসাতে চাইছেন শিক্ষকরা।’’ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy