প্রতীকী ছবি।
শনিবার দুপুর থেকে টিভির সামনে বসে বাজেট বক্তৃতা শুনছিলেন এলাকার স্বর্ণ-ব্যবসায়ীরা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বক্তৃতা শুনতে শুনতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যায়। কিন্তু আশা জাগানোর মতো তাঁরা কিছুই শুনতে পাননি রানাঘাটের স্বর্ণশিল্পীরা। এ বারের বাজেটে কার্যত তাঁরা হতাশই হয়েছেন।
বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর সরকার এ দিন বলেন, “এ বারের কেন্দ্রীয় বাজেটে আমরা হতাশা। আমরা বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলেছি। বিপদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করার জন্য সংগঠনের পক্ষ বিভিন্ন দাবি রাখা হয়েছিল। কিন্তু তার কোনওটাকেই সে ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যে কারণে এই শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।”
তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা আমদানি শুল্ক কমানোর জন্য বলেছিলেন। কিন্তু তা কমানো হয়নি। সরকারি ভাবে হলমার্ক পরীক্ষা করার ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছিল। সেটাও মানা হয়নি। যে কারণে শুদ্ধতা বজায় রাখা যাচ্ছে না বলে তাঁর দাবি। সাধারণ স্বর্ণকারদের হলমার্ক রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোনও টাকা না নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সে ব্যাপারেও এই বাজেটে কোনও খবর নেই বলে অভিযোগ।
দীপঙ্কর বলছেন, ‘‘স্বর্ণশিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা দারুণ সঙ্কটে রয়েছেন। আমাদের বিষয়গুলো নিয়ে পদক্ষেপ করা না হলে আগামি দিনে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।”
রানাঘাট শহর এবং তার আশপাশের এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সোনার দোকান রয়েছে। প্রত্যেকটি দোকানে কয়েক জন করে কর্মচারী কাজ করেন। এ ছাড়াও রানাঘাট শহরের আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে কয়েক হাজার যুবক কলকাতায় সোনার দোকানে কাজ করতে যান। এ ছাড়া অনেকে রাজ্যের বাইরে গুজরাত, মুম্বই-সহ বাইরে সোনার দোকানে কাজ করেন। স্বর্ণশিল্পীদের আশঙ্কা, এই বাজেটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এঁদের সকলের স্বার্থ জড়িয়ে থাকায় সকলেই অসুবিধায় পড়ছেন।
এলাকার এক স্বর্ণশিল্পী বলছেন, “এমনিতেই সোনার দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকের কপালে ভাঁজ পড়েছে। সে ভাবে সোনার গয়না এখন আর কেউ বানাতে চাইছেন না। এই কারণে কর্মচারীদের কাজ থেকে বাদ দিয়েছেন অনেক মালিক। খরচ কমাতে তাঁরা নিজেরাই কর্মচারীর কাজ করছেন।’’
তাঁর মতে, অনেক ছোট দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্বর্ণশিল্পীরা অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এই ভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এলাকায় সোনার কাজের কারিগর খুঁজে পাওয়া দুষ্কর
হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy