জখম মিলন মৈত্র। —নিজস্ব চিত্র
গণপিটুনি থেকে পালাতে গিয়ে জলে ডুবে এক দুষ্কৃতীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে কল্যাণী থানার গয়েশপুর পুরসভা এলাকায়। মারের ফলে প্রায় আধমরা অন্য এক দুষ্কৃতীকে প্রথমে কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তৃতীয় দুষ্কৃতী অবশ্য জনরোষ থেকে কোনও ক্রমে বেঁচে পালাতে পেরেছে। শনিবার রাতের ঘটনাটি ঘটেছে গয়েশপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে দোগাছি এলাকায়। গণপিটুনিতে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
মৃতের নাম জনক সরকার। বাড়ি রানাঘাট থানার হবিবপুর রাঘবপুর এলাকায়। আর গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম মিলন মৈত্র। তার বাড়ি চাকদহ নেতজি মোড় এলাকায়। এরা দু’জন এবং আরও এক জন মোটরবাইকে চেপে এসে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে স্থানীয় যুবকদের ভয় দেখাচ্ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কী কারনে তারা এসেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে একটি মোটরবাইক পাওয়া গিয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এই দিন রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ কয়েক জন স্থানীয় যুবক বসে গল্প করছিলেন। সেই সময় একটি মোটরবাইকে তিন দুষ্কৃতী আসে। তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে জানা গিয়েছে। তারা ওই যুবকদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখায় ও মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এক জনের কপালে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকি দেওয়ার পর যুবকেরা চিৎকার শুরু করেন। তখন আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। শুরু হয় মার।
গয়েশপুর পুরসভার পুরপ্রধান মরণ কুমার দে দাবি করেন, “ ওই এলাকায় এক বিজেপি কর্মী ঝিলে মাছ চাষ করেন। তাঁর মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নদিয়া দক্ষিণ জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত সিকদার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy