ফাইল চিত্র।
করোনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্বস্তিতে থাকা গেলেও জেলা সদর কৃষ্ণনগরে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ডেঙ্গি।
জেলার পুরসভাগুলির মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় কৃষ্ণনগর পিছিয়ে থাকলেও ডেঙ্গিতে সকলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে সে।
জেলা কর্তাদের অনেকেই মনে করছেন, এখনও পর্যন্ত জেলা সদরে সে ভাবে করোনার দেখা না মিললেও আগামী দিনে কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। বিশেষ করে সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ গোটা জোলার পাশাপাশি কৃষ্ণনগর শহরেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে। তখন একই সঙ্গে করোনা ও ডেঙ্গির বিরুদ্ধে লড়াই অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। এক দিক সামলাতে গিয়ে তখন অন্য দিক উপেক্ষিত হতে পারে সামান্য গাফিলতিতেই। তাই জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা চাইছেন, করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন কৃষ্ণনগর পুরসভা কর্তৃপক্ষ। জেলার এক কর্তার কথায়, “পুরসভা কর্তৃপক্ষ লড়াই শুরু করতে যত দেরি করবেন ততই কঠিন হয়ে পড়বে পরিস্থিতি।”
এ বছর এমনিতেই ডেঙ্গি পরিস্থিতি প্রথম থেকেই উদ্বেগের। কারণ, গত বছরও ১৪ জুলাই পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৪। এ বার সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৭। এর মধ্যে শুধু কৃষ্ণনগর শহরেই ৬জন রয়েছেন। গত বছর গোটা বছরে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮৬ জন। সেখানে রানাঘাট পুরসভা এলাকায় আক্রান্ত ছিল সবচেয়ে বেশি। ১৮৫ জন। সেখানে এখনও পর্যন্ত মাত্র এক জন ডেঙ্গি রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ব্লকের মধ্যে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে পুরসভা সংলগ্ন কৃষ্ণনগর-১ ব্লকে। ৭ জন। তাই সব দিক দিয়ে কৃষ্ণনগর শহর বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।
ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা নদিয়ায় ২০১৮ সালে ছিল ১১৫১ জন। গত বছর সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয় ৭৮৯১ জন। তার মধ্যে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা ছিলেন ৮৬ জন। ২০২০ সালের ১৪ জুলাই পর্যন্ত জেলায় মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ জন, তাঁদের মধ্যে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা হলেন ৬ জন।
এ বছর প্রথম থেকেই পরিস্থিতি বিপদসঙ্কেত দিতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন কর্তারা। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, “আমরা প্রতিটা পুরসভা এলাকায় একটা উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং কমিটি তৈরি করে দিয়েছি। একটা গাইড লাইনও করে দিয়েছি। কৃষ্ণনগর পুরসভাকেও সেই গাইড লাইন মেনে পদক্ষেপ করতেই হবে।’’
কিন্তু কেন এই অবস্থা? কর্তাদের কথায়, কোনও শহরে নর্দমা ঠিক মতো সাফ না হলে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে বাধ্য। পাশাপাশি নির্মিয়মান বাড়িতেও জল জমে এবং সেখানে ডেঙ্গির মশারা ডিম পাড়ে। কৃষ্ণনগর শহরে সেই সবই দেখা যাচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলছেন, “আমরা পুরসভাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছি যে, এক সপ্তাহের মধ্যে নর্দমা পরিষ্কার করতে হবে। কোনও নির্মিয়মান বাড়ি বা বহুতলে যাতে কোনও ভাবেই জল জমে না থাকে সেটা নিশ্চিৎ করতে হবে।” কৃষ্ণনগর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা অন্যতম প্রশাসক অসীম সাহার দাবি, “ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য ৩৮২ জন মহিলা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর করছেন। ডেঙ্গির জন্য ৯৬ জন সাফাই কর্মী প্রতিদিন নর্দমা পরিষ্কার করার কাজ করছেন। প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy