Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
আটক ৪০ হাজার ক্যাপসুল

ইয়াবা’র পা পড়ল জেলায়

চলতি সপ্তাহে মুর্শিদাবাদের দু’টি জায়গায় বিপুল পরিমাণে ইয়াবা ট্যাবলেটের খোঁজ পাওয়ার পরে পুলিশও এখন মনে করছে, এই নব্য মাজক পাচারের নয়া রাস্তা খালতে চাইছে পাচারকারীরা।

উদ্ধার হওয়া ইয়াবা ট্যাবলেটের প্যাকেট। —ফাইল চিত্র

উদ্ধার হওয়া ইয়াবা ট্যাবলেটের প্যাকেট। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ফরাক্কা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ০১:৫৪
Share: Save:

এ যাবত গাঁজা-হেরোইন, বড়জোর কাশির সিরাপ কিংবা পোস্তর খোলা— মুর্শিদাবাদের মাদক পাচার কারবার বাঁধা ছিল এ চৌহদ্দিতেই। এ বার সেই তালিকায় মাথা গলাল ইয়াবা।

বছর কয়েক ধরে মায়ানমার থেকে আসা এই নব্য মাদকের খোঁজ মিলছিল দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে। এ বার তার উদয় হল মুর্শিদাবাদ সীমান্তে। নারকোটিক ব্যুরো’র খবর— রোহিঙ্গা সমস্যায় বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে কড়াকড়ি শুরু হওয়ায় উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে ওই মাদক এখন মুর্শিদাবাদ ও মালদহ সীমান্ত ঘুরে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে মুর্শিদাবাদের দু’টি জায়গায় বিপুল পরিমাণে ইয়াবা ট্যাবলেটের খোঁজ পাওয়ার পরে পুলিশও এখন মনে করছে, এই নব্য মাজক পাচারের নয়া রাস্তা খালতে চাইছে পাচারকারীরা।

দিন কয়েক আগেই, মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে এসটিএফের হাতে বাসন্তী হাইওয়েতে এক লক্ষ ইয়াবা ট্যাবলেট ধরা পড়েছিল। আটক করা হয়েছিল, রঘুনাথগঞ্জের রিপন শেখ ও সুতির এব্রাহিম হোসেন নামে দুই মাদক পাচারকারী। শনিবার রাতে ফরাক্কার নবারুণ বাজারের এক হোটেল থেকে ধরা পড়ল ফের দুই মাদক ট্যাবলেট পাচারকারী। তাদের এক জন সুব্রত ঘোষের বাড়ি কলকাতার যাদবপুর থানার সেলিমপুর রোডে। অন্য জন প্রমোদ দাসের বাড়ি অসমের নওগায়।। ফরাক্কায় হোটেলের একটি ঘরে উঠেছিল এই দু’জন। ফরাক্কা পুলিশ শনিবার রাতে সেই ঘরে হানা দিয়ে তল্লাশি চালালে মেলে ৪টি প্যাকেট। যাতে ছিল ৪০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট। দু’টি ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেরায় ধৃতেরা ফরাক্কা পুলিশকে জানিয়েছে মায়ানমার হয়ে গুয়াহাটিতে আনা হয় এই মাদক। সেখান থেকেই তা ফরাক্কায় আনা হয়েছিল। সেখান থেকেই তা বাংলাদেসে পাচারের উদ্দেশ ছিল তাদের।

মুর্শিদাবাদের মাদকের কারবারের ঘাঁটি বলতে বোঝাত একসময় লালগোলা। মূলত পোস্তর আঠা থেকে হেরোয়িনের কারবারই ছিল সেখানে। কিন্তু পুলিশি তৎপরতায় সে ঘাঁটি ভেঙে দেওয়ায় মাদক কারবারিরা আশ্রয় নিয়েছে ফরাক্কা ও মালদহে।

২০১৭ সালের নভেম্বরে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে মণিরুল হক নামে এক মাদক কারবারি লালগোলায় ধরা পড়ে। তার কাছে মেলে ১৫৫০টি ইয়াবা ট্যাবলেট। সেই ট্যাবলেটের জোগান এসেছিল মায়নমার থেকে। সেখান থেকে মনিপুর হয়ে তা লালগোলায় এসেছিল।

জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ জেলায় এর আগে এমন বিপুল পরিমান ইয়াবা মেলেনি। বাংলাদেশে এই ট্যাবলেটের ভালো চাহিদা ও দাম রয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Yaba Farakka Smuggling
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy