ফরাক্কায় জলে ভেসে গিয়েছে ঝাড়খণ্ড-ফরাক্কা সড়ক। নিজস্ব চিত্র
ঝাড়খণ্ডের পাহাড়ি জলে ভাসল ফরাক্কা ব্যারাজ পরিদর্শন সড়কের প্রায় ১৫০ মিটার এলাকা। ফলে বুধবার রাত থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ঝাড়খণ্ড–ফরাক্কা সড়ক যোগাযোগ। দু’পাড়েই আটকে পড়েছে বেশ কিছু ট্রাক সহ বিভিন্ন যান। এমনকি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ঘড়াইপাড়া, ধর্মডাঙা, বেওয়া সহ ৭/৮টি জনবহুল গ্রামের বাসিন্দারা।
ব্যারাজের পরিদর্শন সড়কের ভেসে যাওয়া অংশটি ‘নিশিন্দ্রা কাটান’ বলে পরিচিত। ঝাড়খণ্ডের বারহারোয়া থেকে ৮০ নম্বর জাতীয় সড়কটি বেওয়া সেতু পেরিয়ে পরিদর্শন সড়কের সঙ্গে মিলেছে। গত ক’দিন থেকে ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টির জল এসে জমছিল নিশিন্দ্রা, তিলডাঙা, নগরি সহ অন্তত ৮টি গ্রামের জমিতে। মাঝে মধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছিল ফরাক্কাতেও। সেই জলেই গ্রামগুলির সমস্ত জমি ভেসে রয়েছে। জল নিকাশির রাস্তা ঝাড়খণ্ডের সড়ক পথটি বেশ উঁচু। ফলে জমিতে যখন কোমর জল হয়, তখন সড়কের উপর দিয়ে সে জল তীব্র বেগে উপচে গিয়ে পড়ে ফিডার ক্যানাল। এ বারও সেটাই ঘটেছে। এই জলের তোড়ে রাস্তা কেটে যায়। সেই কারণেই কাটান বলে চিহ্নিত এই অংশটি। এ বারও কাটানের পথ ধরেই জমির জমা জল নামতে শুরু করেছে ফিডার ক্যানালে বুধবার রাত থেকে। বর্তমানে জলে ডুবে রয়েছে কাটানের পশ্চিম পাড়ের কয়েক হাজার বিঘে জমির ফসলও।
চাষিদের অভিযোগ , কাটানের উপর সেতু না হলে সমস্যা মিটবে না। নিশিন্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা প্রবীর ঘোষ বলছেন, ‘‘৪০ বছরেও সে সেতু হয়নি।’’ তৃণমূল নেতা অরুণময় দাস বলেন, ‘‘এটা দীর্ঘ দিনের সমস্যা। পশ্চিমের সমস্ত জমি ভেসে গিয়ে যখন বেশি মাত্রায় জল জমে তখন ব্যারাজের এই সড়ক উপচে গিয়ে পড়ে ফিডার ক্যানালে। পাশেই রয়েছে এনটিপিসির ছাইগাদা। প্রতি বছর এ ভাবে উপচানো জলে রাস্তা ভেঙে যায়।’’ স্থানীয় বাসিন্দা অমিত ঘোষ বলছেন, ‘‘ঝাড়খণ্ড থেকে এই পথে ট্রাক আসে প্রায় হাজার খানেক। নদীর পশ্চিম পাড়ে ফরাক্কার একাধিক গ্রাম থেকেও ফরাক্কার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। অ্যাম্বুল্যান্সও আসতে পারে না।’’ ফরাক্কার বিডিও রাজর্ষি চক্রবর্তী জানান, ওই সড়কটি ফরাক্কা ব্যারাজের। পাশেই রয়েছে এনটিপিসি’র ছাই গাদা। তার ফলেই সমস্যা হচ্ছে। কিভাবে এর স্থায়ী সমাধান করা যায় আলোচনা করে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy