রাস্তায় সারাইয়ের কাজের জন্য বন্ধ থাকবে ফরাক্কা বাঁধের সেতুর একটি লেন। ফাইল চিত্র।
উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সংযোগকারী ফরাক্কা বাঁধের সড়ক-সেতুর একটি লেনে বন্ধ থাকবে যানবাহন চলাচল। রাস্তায় সারাইয়ের কাজের জন্য শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সেতুর একটি অংশে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার কথা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানাল ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। জানিয়ে দেওয়া হল, চলতি বছরের ৪ নভেম্বর থেকে পরের বছর ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সেতুর দু’টি লেনের একটি বন্ধ রাখা হবে। যার জেরে ব্যাপক ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন সাধারণ যাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, ওই সেতুতে দু’টি লেন থাকা সত্ত্বেও ব্যারেজ পার হতে অনেক সময় লেগে যায়। একটি লেন বন্ধ হলে যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হবে। প্রশাসনের অবশ্য বক্তব্য, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সব রকমের ব্যবস্থা করা হবে।
মালদহ, দুই দিনাজপুর, শিলিগুড়ি থেকে নিত্যদিন কয়েক হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি ফরাক্কা বাঁধের রাস্তা হয়ে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করে। প্রত্যেক দিন কয়েক হাজার বড় গাড়ি চলে এই রাস্তা দিয়ে। ওই সড়কের এক পাশের রাস্তার এখন বেহাল দশা। খানাখন্দে ভরা ওই রাস্তার হাল ফেরাতে পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন উত্তরবঙ্গের মানুষ।
মালদহের গাজল থেকে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় কাপড়ের ব্যবসা করতে আসেন আমানুল্লাহ হাসান। তিনি বলছেন, ‘‘দু’টি লেন দিয়ে গাড়ি চলাচল করেও ঘণ্টাখানেক লাগে ব্যারেজ পার হতে। একটি লেন বন্ধ হয়ে গেলে কী অবস্থা হবে, ভেবেই তো মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে!’’ একই ভাবে, মালদহের বৈষ্ণবনগর থেকে বহরমপুরে আসা এক ব্যাঙ্ক কর্মচারীর কথায়, ‘‘ভোর ৫টার বাস ধরে অফিসে আসি। একটা লেন বন্ধ করে দেওয়া হলে তো সপরিবার বহরমপুরে বাড়ি ভাড়া নিতে হবে আমাকে।’’
দুশ্চিন্তায় বহরমপুর-শিলিগুড়ি রুটের বাস মালিকদেরও। তাঁদের এক জনের কথায়, ‘‘বাস চালিয়ে তো এমনিতেই লোকসান। তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এক লেন বন্ধ হলে খরচ আরও বাড়বে। যাত্রী ভাড়া তো আর বাড়বে না। ফলে হয়তো বাস চালানোই বন্ধ করে দিতে হবে।’’ যদিও এমন আশঙ্কা অহেতুক বলেই জানাচ্ছেন ফরাক্কা ব্যারেজ প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজার আর আজাগেশন। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তার একটি লেন সব সময় খোলা থাকবে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সব রকম চেষ্টা করবে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy