Advertisement
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাসে চড়াও সত্যজিতের ছোট ভাই

এই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সুমিত এবং তাঁর রক্ষীকে দীর্ঘ সময় আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান বাস শ্রমিকরা। এই সময়ে কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডে বাস চলাচলও বন্ধ থাকে। পরে আক্রান্ত বাস চালককে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।  তবে রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

জখম বাসচালক। নিজস্ব চিত্র।

জখম বাসচালক। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর  শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৯ ০২:৫৩
Share: Save:

এক বাসচালককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের এক কর্মী ও তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে, সুমিত বিশ্বাস নামে ওই কর্মী কৃষ্ণগঞ্জের নিহত তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের ছোট ভাই।

এই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সুমিত এবং তাঁর রক্ষীকে দীর্ঘ সময় আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান বাস শ্রমিকরা। এই সময়ে কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডে বাস চলাচলও বন্ধ থাকে। পরে আক্রান্ত বাস চালককে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

গত ফেব্রুয়ারিতে সত্যজিৎ খুন হওয়ার পরে তাঁর ভাই সুমিতকে আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরে চুক্তিতে নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। তাঁর উপরে হামলার আশঙ্কা থাকায় তাঁকে নিরাপত্তারক্ষীও দেওয়া হয়। এ দিন সেই রক্ষীকে সঙ্গে নিয়েই কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডে পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত লিফলেট বিলি করছিলেন সুমিত। সেই সময়ে একটি টোটো এসে তাঁদের ধাক্কা দিলে তাঁরা মাটিতে পড়ে যান। সুমিতদের অভিযোগ, একটি বাস এসে টোটোয় ধাক্কা দেওয়াতেই সেটি তাঁদের উপরে এসে পড়েছিল।

অভিযুক্ত সুমিত বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র।

বাস শ্রমিকদের অভিযোগ, এর পরই সুমিত ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী বাস চালকের উপরে চড়াও হয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। তা দেখে ছুটে আসেন অন্য বাসকর্মীরা। তাঁরা উল্টে সুমিতদের উপরে চড়াও হন। তাঁদের পাল্টা মারধর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বাসমালিক সমিতির অফিসে। সেখানে নিরাপত্তারক্ষী গৌতম ঘোষ রিভলভার বার করেন বলে অভিযোগ। তাতে বাস শ্রমিকরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ এসে দু’জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

সুমিতের দাবি, “আমি একটা চড় মেরেছি মাত্র। কারণ বাসটা টোটোকে ধাক্কা দিয়েছিল বলেই টোটো আমাদের ধাক্কা মারে। সেই কারণে হঠাৎ মাথাটা গরম হয়ে গিয়েছিল।” তবে আক্রান্ত বাস চালক তপন নাগের দাবি, “আমি টোটোকে ধাক্কা দিইনি। টোটোটা যাত্রী তুলে চলতে শুরু করেছিল। অথচ কারও কথা না শুনেই আমাকে মারতে শুরু করল দু’জন। বুট দিয়ে পেটে লাথিও মারে।”

এর পরেও অবশ্য পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়নি। বাসকর্মীদের একটি সূত্রের দাবি, শ্রমিক ও মালিকদের একাংশ বিষয়টি মিটমাট করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তবে নদিয়া জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত সিংহরায় বলেন, “বিষয়টি শ্রমিকদের উপরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা যা বলবেন, সেটাই হবে।” জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, “আমি আঞ্চলিক পরিবহণঁ দফতরকে বলেছি রিপোর্ট দিতে। রিপোর্ট পেলেই সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে। পুলিশ সুপারের সঙ্গেও কথা বলেছি।”

অন্য বিষয়গুলি:

transport department heckling harassment
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy