প্রতীকী ছবি।
সামান্য পারিবারিক বিবাদ হোক বা শরিকি বিবাদ, কথায় কথায় নবাবের জেলাতে হাতে উঠে আসছে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা। কেন এই অবস্থা?
পুলিশ জানুয়ারিতেই ৪০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৪৮৬টি গুলি উদ্ধার করেছে। বোমা উদ্ধার করতে পেরেছে কুড়িটি। পুলিশের সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক ভাবে অস্ত্র কারবারিদের গ্রেফতার করে জানা যাচ্ছে, অধিকাংশ আগ্নেয়াস্ত্র প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের মুঙ্গের থেকে বেড়িয়ে কখনও মালদহ হয়ে অথবা ঝাড়খণ্ডের পাকুড় হয়ে এই জেলাতে আসছে।
জেলার এক পুলিশ অফিসার বলেন, “আগ্নেয়াস্ত্র-সহ অনেককেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ থাকার পরেও উপযুক্ত সাজা তাঁরা পাচ্ছেন না।” জেলার পুলিশ সুপার অজিত সিংহ যাদব বলেন, “আমাদের জেলাতে মূলত বিহারের মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র আসছে সেটা অস্ত্র কারবারিদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। কিন্তু ওই কারবার কার নেতৃত্বে হচ্ছে সেই লোকের সন্ধান চালাচ্ছি।” পুলিশ সুপার জানান জেলা জুড়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ অনেককেই গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করছি। পুলিশ সক্রিয় ভাবে আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
জেলার বুক চিড়ে বয়ে যাওয়া ভগিরথী দিয়ে বহু জল বয়ে গিয়েছে, কিন্তু জেলা বাসিন্দাদের সামান্য অশান্তিতে এমন ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করছে সেটা নিয়ে জেলা পুলিশের কর্তাদের কপালে ভাঁজ পড়েছে। প্রশ্ন এখন একটাই ‘এতো’ আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে আসছে? কোন পথ ধরে জেলায় আসছে আগ্নেয়াস্ত্র? আর কে বা কারা ওই আগ্নেয়াস্ত্র কারবারিদের মাথা? সব মিলিয়ে জেলা পুলিশ এখন বড় ধরণের প্রশ্ন চিহ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির কারণ বাড়িতে মজুত করে রাখা বোমা ব্যবহার হয়নি। ওই বোমা নিক্রিয় না করে পুকুরের জলে অথবা বাড়ির পাশে জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার ঘটনা যেমন ঘটে। আবার ওই বোমাকে এলাকার ছোটরা খেলার বল ভেবে খেলা করতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে বিপদ ঘটেছে এই জেলাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy