Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Durga Puja 2020

পরিবারের আপত্তিতে বন্ধ হয়েছে পশুবলি

সান্যাল পরিবারের এক সদস্য জানান, সপ্তমীর দিন কলাবউ স্নান করিয়ে রাখা হয় কার্তিকের পাশে। এখানে নবপত্রিকা দুর্গার রূপ হিসেবে পূজিত হয়। তাছাড়া প্রথা মেনেই প্রতি অষ্টমীতে কুমারী পুজো, সাবিত্রী পুজোর প্রচলন রয়েছে।

সান্যাল বাড়ির প্রতিমা। নিজস্ব চিত্র

সান্যাল বাড়ির প্রতিমা। নিজস্ব চিত্র

মফিদুল ইসলাম
নওদা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২০ ০১:১৪
Share: Save:

ব্লকের প্রাচীন পুজোগুলির অন্যতম নওদার সান্যালবাড়ির পুজো। এবার ওই পুজোর ২৫৮ তম বর্ষ।ওই পরিবারের এক সদস্য জানান, বাংলাদেশের পাবনা জেলার সলপে এক সময় সান্যাল পরিবারের পূর্বপুরুষরা থাকতেন। অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে মহারাজ নন্দকুমারের আনুকূল্যে ওই পরিবারের পুর্বপুরুষ শ্রীমন্ত সান্যাল পরিবার নিয়ে নওদায় স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেছিলেন। ১৭৬২ সালে শুরু হয় সান্যাল বাড়ির এই পুজো। তবে আদতে পারিবারিক পুজো হলেও গ্রামের অন্য বাসিন্দাদের অংশগ্রহণে তা এখন সর্বজনীন পুজোর রূপ নিয়েছে। সান্যাল পরিবারের সদস্যরা নিজেদের টাকায় এই পুজোর আয়োজন করেন। আগে এই পুজোয় পশুবলি দেওয়া হত। তবে ১৯৯৭ সাল থেকে পরিবারের সদস্যদের কয়েক জনের আপত্তিতে সেই প্রথা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

সান্যাল পরিবারের এক সদস্য জানান, সপ্তমীর দিন কলাবউ স্নান করিয়ে রাখা হয় কার্তিকের পাশে। এখানে নবপত্রিকা দুর্গার রূপ হিসেবে পূজিত হয়। তাছাড়া প্রথা মেনেই প্রতি অষ্টমীতে কুমারী পুজো, সাবিত্রী পুজোর প্রচলন রয়েছে। অষ্টমীর দিন তিন জনের বেশি বিজোড় সংখ্যায় কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। যা দেখতে ভিড় করেন গ্রামের সব ধর্মের মানুষ। কর্মসূত্রে সান্যাল বাড়ির অনেকেই কলকাতা কিংবা ভিন রাজ্যে রয়েছেন। পুজো উপলক্ষে তাঁরা ঘরে ফেরেন। ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতিমার ডাকের সাজ তৈরি করে আসছেন শিল্পী আশিস বাগচী। পরিবারের প্রবীণ সদস্য দেবব্রত সান্যাল বলেন, ‘‘পারিবারিক পুজো হলেও এই পুজো আসলে গ্রামের সকলের।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy