গ্রেফতার অভিযুক্ত চালক। প্রতীকী চিত্র।
পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হল।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে তাপস পাল নামে ওই অস্থায়ী চালককে ধানতলা থানা এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এ দিন রানাঘাট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এ দিন দুপুরে ধানতলা, রানাঘাট, শান্তিপুর, চাকদহ থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। তবে মৃত কিশোর আকাশ রায়ের দাদা রাজকুমার রায় বলেন, "ভাইয়ের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি হোক, এটা আমরা চাই না। আইনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। গাড়ির চালককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।"
গত সোমবার রাত প্রায় সাড়ে ৮টা নাগাদ ধানতলা থানার কুলগাছি গ্রামে গরুচোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে মারধর করে গ্রামবাসীরা। সেই খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছয় ধানতলা থানার পুলিশ। গণপিটুনিতে জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। আক্রান্ত হন পুলিশকর্মীরাও। সেই সময় ভিড়ের মধ্যে থেকে পুলিশে গাড়ি বেরিয়ে আসতে গেলে তার ধাক্কায় তিন জন জখম হন বলে অভিযোগ। পরে রানাঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে বছর পনেরোর আকাশের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবারই পুলিশ ও রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করে পথে নামে বিজেপি। নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক আশীষবরণ উকিল বলেন, "পুলিশ ওই গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু যে পুলিশ আধিকারিকের নির্দেশে ওই দিন নিরীহ গ্রামবাসীর উপর দিয়ে গাড়ি চালানো হয়েছে, আমরা তাকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি আমরা কেন্দ্রের তফসিলি সেলেও জানিয়েছি।"
রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সমীরকুমার পোদ্দার পাল্টা বলেন, "বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তাই মৃত্যু নিয়ে ওরা রাজনীতি করছে। কোনও মৃত্যুই কাম্য নয়। পুলিশ গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে। তার পরেও ওদের রাজনীতি থামছে না।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy