চলছে অনুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ডোমকলে হতে চলেছে আধুনিক শ্মশান। ভৈরব নদের এ পাড়ে বিদ্যুৎ-চুল্লি-সহ আধুনিক মানের একটি শ্মশান তৈরির প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হল শনিবার।
এ দিন সকালে প্রস্তাবিত ওই শ্মশানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন পাশের জেলা নদিয়ার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান ও ডোমকলের বিধায়ক তথা ডোমকল পুরসভার পুরপ্রধান জাফিকুল ইসলাম। ডোমকল পুরসভা তরফে জানানো হয়েছে, এই শ্মশানের জন্যে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিভিন্ন দফতরে। শেষ পর্যন্ত প্রায় দু’ কোটি টাকা বিভিন্ন তহবিল থেকে পাওয়ার পর শ্মশানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হল এ দিন।
এতদিন ডোমকল মহকুমা এলাকার বাসিন্দাদের মৃতদেহ দাহ করার জন্য ছুটতে হত বহরমপুরের শ্মশানঘাটে। অনেক দরিদ্র, অসহায় পরিবার মুশকিলে পড়তেন সেখানে যেতে গিয়ে। ফলে ডোমকল মহকুমা এলাকার সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি শ্মশানের। ডোমকলের ভাতশালা এলাকায় শিয়ালমারি নদীর পাড়ে সেই শ্মশান তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয় তাঁদের তরফে। শেষ পর্যন্ত তাদের সেই দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে দেখে খুশির হাওয়া ডোমকল জুড়ে। ভাতশালা এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ ঘোষ বলছেন, ‘‘এই শ্মশান পুরোপুরি ভাবে চালু হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এলাকার মানুষের। এখন দেখার, কতদিনে শেষ হয় কাজ।’’ ডোমকল পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বছর দুর্গাপুজোর পরেই শ্মশান চালু করার চেষ্টা হবে। ইতিমধ্যে প্রায় দু’ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। আরও বেশ কিছু অর্থের প্রয়োজন। তবে যে অর্থ পাওয়া গিয়েছে তা দিয়েই কাজ শুরু হয়েছে। ডোমকলের বিধায়ক তথা পুরপ্রধান জাফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘আধুনিক শ্মশান তৈরি করতে চাইছি। প্রয়োজনে বিধায়ক তহবিলের অর্থ দিয়েও সেই কাজ করা হবে।’’
তবে আধুনিক শ্মশান হলেও নদী নিয়ে প্রশ্ন উঠছে হাজারো কারণে। বদ্ধ নদীর পাড়ে শ্মশান চালু হলে তা কতটা পরিবেশ-বান্ধব হবে, সেই প্রশ্নও উঠছে। যদিও পুরসভা জানায়, নদী নিয়ে ইতিমধ্যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ওই নদী সংস্কার করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy