বহির্বিভাগে চিকিৎসা চলছে। কানাপুকুরে। নিজস্ব চিত্র।
ওঁরা প্রতিবাদ করছেন। এনআরএসের ঘটনায় ওঁরা ক্ষুব্ধ। ওঁরাও চান, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক পরিবহ মুখোপাধ্যায়। শাস্তি পাক অভিযুক্তরা। কিন্তু ওঁদের কেউই চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করেননি। রোজ দিনের মতোই রোগী দেখেছেন, পালন করেছেন নিজেদের কাজ ও কর্তব্য। শুধু শার্টের উপরে আটকানো কালো ব্যাজ জানান দিয়েছে, তাঁরাও পাশে আছেন জুনিয়র ডাক্তারদের। অন্যায়ের প্রতিবাদ করছেন তাঁরাও।
বুধবার অসুস্থ মাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন সাগরদিঘির দস্তুরহাটের বাসিন্দা জাফর ইসলাম। হাসপাতালে এসে তিনি শোনেন, চিকিৎসকেরা নাকি রোগী দেখবেন না। কিন্তু হাসপাতালের বর্হিবিভাগের টিকিট কাউন্টারে গিয়ে তাঁর ভুল ভাঙে। তিনি জানতে পারেন, লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের বর্হিবিভাগের সমস্ত ডাক্তারই সময় মতো বসবেন এবং চিকিৎসাও করবেন। শেষতক অসুস্থ মাকে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। এ দিন বহু হাসপাতালেই বন্ধ ছিল বহির্বিভাগ। কিন্তু লালবাগ মহকুমার লালবাগ, জিয়াগঞ্জ, কানাপুকুর, নসিপুর হাসপাতাল হাঁটল উল্টোপথে। রোজ দিনের মতোই ওই হাসপাতালের বহির্বিভাগে ভিড় ছিল। চিকিৎসকেরা রোগীও দেখেছেন।
এ বিষয়ে লালবাগের এসিএমওএইচ নীলাঞ্জন দস্তিদার বলেন, ‘‘আমরা রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্যই আছি। এনআরএসের ঘটনায় আমরাও ক্ষুব্ধ। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশেও আছি। তাই বলে চিকিৎসা পরিষেবা তো আর বন্ধ রাখতে পারি না!’’ লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ দেওঘরিয়া বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতেই সমস্ত ডাক্তারদের নিয়ে আলোচনা করি। সকলেই জানান, তাঁরা কাজ করবেন। প্রতিবাদে কালো ব্যাজ পরেছি। কিন্তু কাজও করেছি। রোগীরা দূরদূরান্ত থেকে এসে চিকিৎসা না পেয়ে ঘুরে যাবেন। সেটা আমরা হতে দিইনি।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy