মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সভায়। ৮ অগস্ট, ২০২৪। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
মুর্শিদাবাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অনেক দিনের। দলীয় কিংবা প্রশাসনিক কাজে বার বার মুর্শিদাবাদে এসেছেন। কখনও যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক, কখনও দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, কখনও রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী কখনও বা উপমুখ্যমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মুর্শিদাবাদে এসেছেন। যার ফলে মুর্শিদাবাদের সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের গভীর সম্পর্কও গড়ে উঠেছিল। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যুতে রাজ্যের অন্য এলাকার সঙ্গে শোকস্তব্ধ মুর্শিদাবাদের বাসিন্দারাও।
তিনি যুব সংগঠনের প্রতিষ্ঠা সম্পাদক হিসেবে কী ভাবে দিনের পর দিন বাসে করে কলকাতা থেকে বহরমপুরে এসে ছোটাছুটি করেছেন, কী ভাবেই জেলায় ব্লকে ব্লকে বাসে করে সংগঠনের কাজে গিয়েছেন, সে সব নিয়ে দলের অনেকেই স্মৃতিচারণা করছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা জুড়ে শোক মিছিল হবে বলে সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা জানিয়েছেন।
জামির বলেন, ‘‘শুক্রবার বিকেলে প্রতিটি এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে শোক মিছিল বার করা হবে।’’
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৭০ সালে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফের প্রতিষ্ঠাতা রাজ্য সম্পাদক হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সে সময় থেকে তিনি রাজ্যের অন্য জেলার সঙ্গে মুর্শিদাবাদেও আসতেন। আবার নব্বইয়ের দশকে মুর্শিদাবাদ জেলা সিপিএমের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দীর্ঘ দিন তিনি সেই দায়িত্ব সামলেছেন। ফলে মাসে এক দু’বার করে তাঁকে বহরমপুরে আসতে হত। মন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি বহরমপুরে সার্কিটে হাউজ়ে উঠতেন। আবার জেলা কার্যালয়েও উঠতেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ সিপিএমের প্রবীণ নেতা ছিলেন তুষার দে। তিনি তুষার দের বাড়িতেও উঠতেন। সিপিএম নেতৃত্ব জানিয়েছেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সাধারণ খাবার পছন্দ করতেন। কখনও দলীয় কার্যালয়ে ‘কমিউনের’ খাবার অন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে খেতেন। কখনও বা তুষার দের বাড়িতে খেতেন, কখনও তুষার দের বাড়ির রান্না করা খাবার খেতেন। সার্কিট হাউজ়ে কখনও কখনও খেতেন। তবে ছোট মাছ পছন্দ করতেন। লাল চা, বা ব্ল্যাক কফি খেতেন।
দলীয় জেলা কার্যালয়ে বুদ্ধবাবুর সঙ্গে দলের নেতাকর্মীরা সহজেই দেখা করার সুযোগ পেতেন, বুদ্ধবাবু সহজেই তাদের সঙ্গে মিশে যেতেন বলে জেলা সিপিএমের এক নেতা জানিয়েছেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, ‘‘বুদ্ধবাবু মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার আনাজ পছন্দ করতেন। ফলে বহরমপুর থেকে কলকাতার ফেরার পথে তাঁর গাড়িতে আমরা বেলডাঙার ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, পটল, লঙ্কার মতো আনাজ তুলে দিতাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy