টিকিট কাউন্টার। নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘ কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর শুরু হয়েছে রেল পরিষেবা। ফলে ফের আগের মতোই নানা পেশার মানুষ রেলপথে কলকাতা কিংবা লালগোলা যাতায়াত করতে চান। কিন্তু বাধ সেধেছে পর্যাপ্ত ট্রেন না থাকা।
সূত্রের খবর, কৃষ্ণনগর-লালগোলা রুটে মোট ১২ জোড়া ট্রেন বর্তমানে চলছে। মোট ২৪টি গাড়ি আপ ও ডাউন মিলিয়ে। তার মধ্যে চারটি এক্সপ্রেস ট্রেন। কিন্তু সেই এক্সপ্রেস ট্রেনে সব আসনই সংরক্ষিত। সংরক্ষিত ট্রেনে ওঠার জন্য যে টিকিট প্রয়োজন, সেই টিকিট কাটার ব্যবস্থা নেই বেলডাঙা রেল স্টেশনে। বছরখানেক আগে সেই ব্যবস্থা চালু থাকলেও এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভে স্টেশনে ভাঙচুরের পর থেকে সেই ব্যবস্থা এখনও চালু হয়নি। তাতেই বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বর্তমানে সম্পূর্ণ সংরক্ষিত কামরার দু’টি ট্রেন বেলডাঙা স্টেশনে থামলেও মিলছে না সংরক্ষিত টিকিট। এতে সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রী থেকে ব্যবসায়ী।
বেলডাঙা কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে সমীরণ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘সংরক্ষিত আসনের ট্রেন যাতায়াত করলেও সেই টিকিট মিলছে না বেলডাঙা স্টেশনে। ফলে অন্য স্টেশন থেকে বেশি দাম দিয়ে টিকিট কাটতে হচ্ছে। ফলে আমরা এ ধরনের ট্রেনেও অসংরক্ষিত কামরা দেওয়ার দাবি তুলেছি।’’ বেলডাঙার বাসিন্দা নির্মাল্য বিশ্বাস বলেন, “বাবাকে ডাক্তার দেখাতে কলকাতা যাব বলে টিকিট কাটতে গেলাম। পাওয়া গেল না। স্টেশনে ওই টিকিট এখনও বিক্রি হচ্ছে না। বেসরকারি সংস্থার কাছে বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে হচ্ছে।’’
তবে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এনআরসি-বিক্ষোেভে স্টেশনে ভাঙচুর হলে আসন সংরক্ষণ ব্যবস্থা পুরোপুরি নষ্ট হয় যায়। পরবর্তীকালে করোনার জেরে আসন সংরক্ষণ ব্যবস্থা এখনও চালু হয়নি। তবে শীঘ্রই তা চালু করার চেষ্টা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy