Advertisement
১৯ জানুয়ারি ২০২৫

গুলি ফুঁড়ল বাম কর্মীকে

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যায় মোটরবাইকে চেপে স্থানীয় পাচবেড়িয়া বাজার থেকে বাপুজিনগরের দিকে যাচ্ছিলেন বাবুলাল।

নিহত বাবুলাল। ফাইল চিত্র

নিহত বাবুলাল। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:১০
Share: Save:

ভরসন্ধ্যায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন এক সিপিএম কর্মী। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বাবুলাল বিশ্বাস (৪২)। তাঁর বাড়ি তাহেরপুর থানার বাদকুল্লা ২ পঞ্চায়েতের দোসতিনা বাগদিপাড়ায়। বাবুলাল ছিলেন পেশায় দিনমজুর, সিপিএমের বহুদিনের দলীয় সদস্য ছিলেন। সিপিএমের অভিযোগ, খুনের পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। যদিও তারা তা অস্বীকার করেছে। শনিবার রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যায় মোটরবাইকে চেপে স্থানীয় পাচবেড়িয়া বাজার থেকে বাপুজিনগরের দিকে যাচ্ছিলেন বাবুলাল। বাদকুল্লা-হাঁসখালি রাস্তায় দোসতিনা আর পারুয়ার মাঝে বাইকে চেপে এসে দুই দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। খুব কাছ থেকে বাবুলালকে গুলি করে তারা। তাঁর বুকে গুলি লাগে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। গুলির শব্দ এবং বাবুলালের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন এলাকার লোকজন। তাঁরাই বাবুলালকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেন।

এই খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। বাবুলালের স্ত্রী মৌসুমী বিশ্বাস গত পঞ্চায়েত ভোটে বাদকুল্লা ২ পঞ্চায়েতে সিপিএম প্রার্থী ছিলেন। রাতেই শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পৌঁছে যান সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা জেলার এক মাত্র বাম বিধায়ক রমা বিশ্বাস, দলের জেলা সম্পাদক সুমিত দে, জেলা কমিটির সদস্য সুপ্রতীপ রায়-সহ অনেকেই।

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা জেলা সম্পাদক সুমিত দে অভিযোগ করেন, “বাবুলাল পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তার জন্যই তাঁকে খুন হতে হল। এই খুনের পিছনে তৃণমূলই আছে। রাজনৈতিক ভাবে সিপিএমকে শেষ করার জন্যই এই খুন।” তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর সিংহ আবার দাবি করেন, “আমাদের কেউ এই খুনের সঙ্গে যুক্ত নয়। পুলিশকে বলব, তদন্ত করে খুনিকে খুঁজে বের করুক। আমাদের সন্দেহ, এর পিছনে বিজেপি রয়েছে। এই সমস্ত এলাকায় সম্প্রতি বিজেপি এই ধরনের কাজ করছে।”

বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মানবেন্দ্রনাথ রায় পাল্টা বলেন, “বিজেপি এই ধরনের খুনের রাজনীতি কোনও দিনই করে না। বরং আমাদের কর্মীরাই তৃণমূলের আক্রমণের শিকার। এই খুনের সঙ্গে আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়।”

রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার ভিএসআর অনন্তনাগ রাতে বলেন, ‘‘এখনও কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে। সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Murder CPM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy