এই ভাবেই জাঠায় গোরুর গাড়ি নিয়ে প্রতিবাদ জানাল সিপিএম। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
দুই দিকে ফাঁকা জমি। সেই জমিতে কোথাও আনাজ চাষ হয়েছে। আবার কোথাও অন্য কিছু চাষ হয়েছে। সেই জমির মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে রাস্তা। সেই রাস্তার একদিকে গ্রামের মধ্যে দিয়ে, অন্য দিকে বাজার হয়ে শিমুরালি রেল স্টেশনের দিকে চলে গিয়েছে। গ্রামের এই রাস্তা দিয়ে একের পর এক গরুর গাড়ি যাচ্ছিল সার বেঁধে।
আচমকা দেখলে বোঝার উপায় নেই এর গন্তব্য আসলে অনেক দূর, সুদূর দিল্লি। ওই প্রতীকী প্রতিবাদ মিছিল আসলে জমির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছে দিল্লির কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে। চাষিদের জোটবদ্ধ হওয়ার ডাক দিচ্ছে গরুর গাড়ির গায়ে লাগানো, বাতাসে উড়তে থাকা লাল-সাদা পতাকা।
রবিবার বিকালে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইন ২০২০ প্রত্যাহার, দিল্লিতে একই দাবিতে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন, এবং সেখানে মৃত কৃষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সিপিএম-এর ছাত্র এবং যুব সংগঠনের শিমুরালি শাখার পক্ষ থেকে অভিনব গরুর গাড়ি জাঠা মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল।
এ দিন দেখা গেল, জমির মধ্যে দিয়ে চলা গরুর গাড়ি জাঠা। তার কোনটিতে লাল, সাদা পতাকা লাগানো। আবার কোনটিতে লাল, সাদা পতাকার সঙ্গে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতা করে লেখা ব্যানার-পোস্টার। একদম সামনের সারিতে, গরুর গাড়ির সামনেই সাদা পতাকা লাগানো একটি টোটো ছিল। তাতে মাইক বেঁধে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রচার করা চলছিল সমান তালে। চাকদহ ব্লকের শিমুরালি গ্রাম পঞ্চায়েতের নরপতিপাড়া থেকে এই মিছিল শুরু হয়। তেলিপুকুর, বিবেকানন্দ পার্ক, শিমুরালি বাজার, তেমাথা, শান্তিপল্লি হয়ে রামেশ্বরপুরে গিয়ে মিছিল শেষ হয়েছে।
মাইকের শব্দ শুনে ঘরবাড়ি, দোকানঘর থেকে বেরিয়ে আসছিলেন মানুষজন। অভিনব গরুর গাড়ির জাঠা মিছিল দেখেছিলেন এলাকাবাসী।
ওই দিনের মিছিলে ছাত্র যুব নেতা ব্রতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, সালাম শেখ, সুমিত হালদার, কোয়েল দত্ত, শিল্পী সরকার, প্রলয় সেন, আশরাফুল মণ্ডল, প্রতিম চক্রবর্তী-সহ বহু মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের কথায়, “অভিনব এই মিছিল দেখার জন্য এলাকার মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছিল। রাস্তা দু’ধারে দাঁড়িয়ে মানুষ কেন্দ্রীর সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। এই ব্যাপারে লিফলেট বিলি করা হয়েছে। সেটা তাঁরা হাসিমুখে গ্রহণও করেছেন।”
এই গরুর গাড়ির জাঠা নিয়ে নদিয়া দক্ষিণ জেলা বিজেপি সহ সভাপতি পঙ্কজ বোস বলেন, “এ সব করে কিছু হবে না। কৃষকদের উন্নয়নের কথা ভেবে কেন্দ্র সরকার কৃষি আইন তৈরি করেছে। যে যাই বলুন না কেন, কৃষকেরা সেটা ভাল ভাবেই গ্রহণ করেছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy