ছবি: এপি।
লকডাউন শেষের অপেক্ষায় জেলার ৪১ জন শ্রমিক। কাজ করতে বেঙ্গালুরুতে গিয়ে আটকে পড়েছেন তাঁরা।
তেহট্ট এলাকার চাতরপাড়ার এক যুবক জানান, তাঁর পাশাপাশি তেহট্ট মহাকুমার নাজিরপুর, করিমপুর, এবং নাকাশিপাড়া, কালীগঞ্জের অনেক শ্রমিক বেঙ্গালুরুতে আটকে পড়েছেন। জমানো টাকা প্রায় শেষ। তাই এখন ত্রাণের খাবারের উপরই পুরোপুরি ভরসা করতে হচ্ছে তাঁদের।
এই শ্রমিকরা জানান, ২০১৯ এর ডিসেম্বরে বেঙ্গালুরুতে কাঠের কাজ করতে যান ওই শ্রমিকেরা। তেহট্ট মহাকুমা এলাকার ১৪ জন এবং নাকাশিপাড়া ও কালীগঞ্জ এলাকার ২৫ জন সেখানে রয়েছেন। ওই শ্রমিকদের মধ্যে কারও ২৪ মার্চ, কারও ৩০ মার্চ আবার কারও ৩ এপ্রিল বেঙ্গালুরু থেকে ট্রেনে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় তাদের আর ফেরা হয়নি। বেঙ্গালুরুতে মনীকুল্লা সাই বাবা মন্দিরের কাছে ছ’টি ঘর নিয়ে ওই শ্রমিকরা রাত কাটাচ্ছেন।
তেহট্টের চাতরপাড়ার বাসিন্দা সোমনাথ হাজরা বলেন, ‘‘বর্তমানে রীতিমতো সঙ্কটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। কোনও রকমে ত্রাণের খাবার খেয়ে বেঁচে রয়েছি। লকডাউনের জন্য কাজ বন্ধ। তাই বেতনও পাওয়া যায়নি শেষ কয়েক মাসের। কাজেই হাতে কোনও টাকা নেই।’’ একই কথা জানান তেহট্টের নাজিরপুরের বাসিন্দা তিন শ্রমিক গদাধর ঘোষ, রামানন্দ ঘোষ এবং বাবু সাহা।
করিমপুরের অজয় দাস বৈরাগ্য নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘‘খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। এত দিনেও সরকারি সাহায্য মেলেনি।’’ নাকাশিপাড়া, কালীগঞ্জের শ্রমিকদের অভিযোগ, তাঁরা যে বাড়িতে ভাড়ায় রয়েছেন, সেই বাড়ির মালিক তাঁদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত খারাপ ব্যবহার করে চলেছেন। সাহায্য করা তো দূরের কথা, বেশ কিছু দিনের ভাড়া বাকি থাকায় তাঁদের ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন ওই বাড়ির মালিক। এক শ্রমিক বলেন, ‘‘লকডাউনের জেরে যেখানে কাজ বন্ধ, বেতন পাচ্ছি না, ঠিক মতো খাবার পাচ্ছি না, সেখানে ভাড়া দেব কী করে!’’
এই সঙ্কটের মধ্যে এখন বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy