Advertisement
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
Coronavirus in West Bengal

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অন্তর্বিভাগ হবে তো, অপেক্ষায় হাতিনগর

করোনার ছায়া পড়েছে গাঁয়ের গভীরেও। নিভু নিভু গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সামনেও ভয়ার্ত মানুষের আঁকাবাঁকা লাইন। কেমন আছে সেই সব অচেনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি, খোঁজ নিল আনন্দবাজারকরোনার ছায়া পড়েছে গাঁয়ের গভীরেও। নিভু নিভু গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সামনেও ভয়ার্ত মানুষের আঁকাবাঁকা লাইন। কেমন আছে সেই সব অচেনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি, খোঁজ নিল আনন্দবাজার

চিকিৎসা চলছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র

চিকিৎসা চলছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র

বিদ্যুৎ মৈত্র
শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২০ ০২:৫১
Share: Save:

জেলা সদর বহরমপুরের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা জ্বর, সর্দিকাশির মতো সাধারণ অসুখের পাশাপাশি যক্ষ্মা, ডায়েরিয়া, ম্যালেরিয়ার চিকিৎসার জন্য এতদিন হাতিনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (পিএইচসি) উপরে ভরসা করে এসেছেন। করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে ভোগা সাধারণ মানুষও এখন সেখানে রোজ ভিড় করছেন। ফলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখন আগের চেয়েও বেশি রোগীর আনাগোনা।

হাতিনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে খবর, বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় শখানেক রোগী আসছেন। তবে তাঁদের অধিকাংশই জ্বর কিংবা সর্দিকাশির সমস্যা নিয়ে আসছেন। চিকিৎসকদের কাউকে দেখে সামান্যতম সন্দেহ হলেই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে তৎক্ষণাৎ রোগীকে ‘রেফার’ করছেন মাতৃসদনের করোনা হাসপাতালে সেখানে প্রয়োজন বুঝলে কাউকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়। তবে হাতিনগর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সুজয় মহাজন বলেন, “এলাকার মানুষের কথা ভেবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই আইসোলেশন বিভাগ চালু করলে সাত কিমি দূরে কোভিড হাসপাতালে আর যেতে হয় না।’’

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভেঙে যাওয়া পুরনো ভবন ছেড়ে ২০১৭ সালে ওই চত্বরেই নতুন ভবন নির্মিত হয়েছিল। ঠিক ছিল সেখানে ১০ শয্যার অন্তর্বিভাগ চালু হবে। প্রসূতি বিভাগ চালু করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল ওই একই সময়। কিন্তু সে সব এখনও পরিকল্পনার স্তরেই আটকে আছে। উল্টে নতুনভাবে তৈরি হওয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ ১০টি শয্যা পাঠাতে হয়েছে জেলার কোভিড হাসপাতালে। জীবননগর, মাদাপুর, শিবপুর, হিকামপুর প্রভৃতি এলাকার মানুষজন অবশ্য জ্বর-জারির মতো সাধারণ অসুখেই এখন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন।

অনেকটা জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে হাতিনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। মাসকয়েক আগে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চার নার্স অন্যত্র বদলি হয়েছেন। বর্তমানে একজন নার্স, একজন চিকিৎসক, একজন ট্রিটমেণ্ট সুপারভাইজ়ার, একজন ল্যাব টেকনিসিয়ানকে নিয়ে চলছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সপ্তাহে চার দিন চিকিৎসক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উপস্থিত থাকলেও বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুপুর একটার পর চিকিৎসক থাকেন না। ওই সময় গুরুতর অসুস্থ রোগীকে নিয়ে ছুটতে হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অধীনে ৩৬টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। সেই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগীদের এখানেই পাঠান হয় চিকিৎসার জন্য। স্থানীয়দের দাবি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যক্ষা রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়া সত্ত্বেও এক্স-রের জন্য রোগীদের ছুটতে হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে। ডায়াবিটিসের রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করা হলেও অনেক ওষুধ মেলে না বলে অভিযোগ।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy