প্রতীকী ছবি।
জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের করোনাভাইরাস আক্রান্ত নার্সিং কর্মীকে নিয়ে আতঙ্ক শুধু হাসপাতাল চত্বরে নয়, গ্রাস করেছে জঙ্গিপুর শহরের অলিগলি পাড়াগুলিকে। এর ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা নার্সিং কর্মীদের যেমন উঠে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয়েছে তেমনই হাটে বাজারে কমে এসেছে লকডাউন তোয়াক্কা না করে লোকজনের চলাচল।
জঙ্গিপুর হাসপাতালের এক নার্সিং কর্মীর কোভিড-পজ়িটিভ হওয়ায় সোমবার থেকে হাসপাতালের ওই ওয়ার্ড স্যানিটাইজেশন না করা পর্যন্ত ডিউটি করতে বেঁকে বসলেন হাসপাতালের অন্য নার্সিং কর্মীরা। এ দিন দুপুরে নার্সদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন হাসপাতালের সুপার সায়ন দাস। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন নার্সিং কর্তা, সুপার এবং আইএমএ নেতৃত্ব।
রবিবার ওই হাসপাতালের মেডিসিন পুরুষ বিভাগে ডিউটিরত ওই মহিলা নার্সিং কর্মীর শরীরে করোনাভাইরাস মেলার পরেই ওয়ার্ডের ১৪ জন নার্সিং কর্মীর লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ তাঁদের রিপোর্ট আসার কথা। আক্রান্ত নার্সিং কর্মী মেদিনীপুরের বাসিন্দা। তবে, হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর থেকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে কর্মরত তিনি। সম্প্রতি কমিউনিটি হেলথ অফিসার পদে আবেদন করে ৬ মাসের প্রশিক্ষণে গিয়েছিলেন কলকাতায়। প্রশিক্ষণ শেষ করে ফের হাসপাতালের ডিউটিতে ফেরেন এ বছরের জানুয়ারিতে। থাকতেন নার্সিং হস্টেলে। সেখানে সমস্যা হওয়ায় তাঁর এক সহকর্মীকে নিয়ে মাস আড়াই আগে শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়িতে ঘর ভাড়া নেন তিনি। সে বাড়ির মালিক বলেন, “দিন পনেরো থাকব বলে ওঁরা ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। তার পর আটকে গিয়েছিলেন লকডাউনে। ওঁদের পাশের ঘরেই আমার ছেলে-বৌমা ও নাতির থাকে। সকলের সঙ্গেই তাঁদের মেলামেশা ছিল। ফলে বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।’’
আক্রান্ত নার্সিং কর্মী মাস খানেক আগে মেল মেডিসিন বিভাগে আসেন। ৬ মে তার লালা রস নেওয়া হয় অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে রুটিন কর্মসূচী হিসেবেই। করোনার কোন লক্ষণ ছিল না তার শরীরে। তা সত্বেও করোনা পজ়িটিভ কেন হল তা নিয়ে চিকিৎসকেরাও দুশ্চিন্তায়। তাঁকে আপাতত বহরমপুর মাতৃসদন অধুনা কোভিড হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
এখন খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, গত কয়েক দিনে ওই নার্সিং কর্মী শহরের কোন এলাকায় কোন দোকানে বা কার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে ডিউটিরত নার্স-চিকিৎসক-চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সকলকেই হোম কোয়রান্টিনে পাঠানোর কথা ভাবছে স্বাস্থ্য দফতর।
এ ব্যাপারে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘করোনা আক্রান্তদের জন্য যা যা করণীয় তা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy