প্রতীকী ছবি।
একশো বা তার আশপাশে করোনা আক্রান্তের ধারা অব্যাহত। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পরীক্ষা বেড়েছে, তাই আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। শনিবার রাতেও মুর্শিদাবাদে ৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্য দিকে করোনা থেকে রবিবার সুস্থ হয়ে ৭১ জন। এই নিয়ে জেলায় ১ হাজার ৫৮৬ জন করোনা থেকে সুস্থ হলেন। এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩০জনের। তাঁদের মধ্যে ২১জন জেলার করোনা হাসপাতালে এবং বাকিরা জেলার বাইরে হাসপাতালে মারা গিয়েছেন।
মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘করোনা পরীক্ষা বাড়ার ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। তবে সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও কম নয়। গত কয়েকদিন থেকে প্রতিদিন জেলায় ৫০-৭০ জন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হচ্ছেন।’’
সূত্রের খবর, শনিবার রাতের রিপোর্ট অনুযায়ী বেলডাঙা, বহরমপুর, লালগোলা, মুর্শিদাবাদ পুরসভা, রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এদিন কান্দি থানার এক পুলিশ কর্মীর করোনা পজ়িটিভ হয়েছে।
এক নজরে
করোনা থেকে সুস্থ ১৫৮৬ জন।
করোনা আক্রান্ত ২৪৯৩ জন।
করোনা হাসপাতালে ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন ৮৭৭ জন।
করোনায় মৃত্যু ৩০ জনের।
সেই সঙ্গে মাতৃসদনে ‘সারি ওয়ার্ডে’ করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রোগী মৃত্যুর বিরাম নেই। রবিবার ভোরেও মাতৃসদন করোনা হাসপাতালের ‘সারি ওয়ার্ডে’ তিন বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের বাড়ি ডোমকল, ভগবানগোলা ও সুতি থানা এলাকায়। তিন জনের বয়স ৬০-৭০ এর মধ্যে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাঁদের শারীরিক অবস্থা ভাল ছিল না। চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করা যায়নি।
মাতৃসদন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে করোনা পজ়িটিভের থেকে সারি ওয়ার্ডের রোগী মৃত্যু বেশি হচ্ছে। এ পর্যন্ত মাতৃসদন করোনা হাসপাতালে ২১ জন করোনা পজ়িটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সেখানে গত দশ দিনে ‘সারি ওয়ার্ডে’ ২১জনের বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দিন দশেক আগে মাতৃসদনের ‘সারি ওয়ার্ডে’ ১০ জনের একই দিনে মৃত্যু হয়। এ ছাড়া প্রায় প্রতিদিনই সেখানে ১-২ জন করে করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি থাকা রোগীর সেখানে মৃত্যু হচ্ছে।
শনিবার সারি ওয়ার্ডে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সেখানে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সারি ওয়ার্ডের রোগী মৃত্যু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার শর্মিলা মল্লিক বলেন, ‘‘আমরা সারি ওয়ার্ডে মৃতদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখেছি তাঁদের অধিকাংশ শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে এসেছিলেন। ফলে চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy