করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার লাইন। শান্তিপুর হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র
এক দিকে করোনার টিকা গ্রাহকদের প্রবল ভিড়, অন্য দিকে টিকার সঙ্কট। দু’য়ের মাঝে কার্যত দিশাহীন অবস্থা জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের।
টিকার অভাবে একে-একে বন্ধ করে দিতে হচ্ছে টিকাদান কেন্দ্রগুলি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে, টিকার অভাবে গত রবিবার জেলায় দু’টির বেশি টিকাদান কেন্দ্রে খুলে রাখা সম্ভব হয়নি। কিছু টিকা আসার পর সোমবার সংখ্যাটা কিছুটা বাড়ানো গেলেও আজ মঙ্গলবার আবার কী অবস্থা হবে বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।
নদিয়া জেলায় গত শনিবার মাত্র ২০ হাজার টিকা এসেছিল। ফলে জেলায় শুধুমাত্র জেলা হাসপাতালের দু’টি ক্যাম্পাস শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তা-ও শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে কেবল দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া গিয়েছে।
রবিবার জেলায় মাত্র ৪১১ জনকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সোমবার মাত্র ৪২টি কেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়া হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ হাজারের মধ্যে ১৮ হাজার টিকা এই ৪২টি কেন্দ্র থেকে বিলি করে দেওয়া হয়েছে। হাতে আছে মাত্র দু’ হাজার টিকা। এই পরিস্থতিতে আর কোনও টিকা না-এলে এবং ১ মে থেকে নতুন করে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকাদান শুরু হলে পরিস্থিতি জটিল হবে বলে স্বাস্থ্যকর্তাদের আশঙ্কা।
কারণ, প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ন্যূনতম ৬ থেকে ৭ জন করে স্বাস্থ্যকর্মী প্রয়োজন। যত দিন যাবে ততই কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা বাড়বে। বাড়বে সেফ হোম। সেখানেও নার্স ও এএনএম প্রয়োজন হবে। এই পরিস্থিতিতে বেশি সংখ্যায় টিকাদান কেন্দ্র চালু করলেও নার্স ও এএনএম পাওয়াও কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে রানাঘাটের একটি ও কল্যাণীতে দু’টি বেসরকারি জায়গায় অর্থের বিনিময়ে টিকা দেওয়ার কাজ চলছে। তার বাইরে জেলায় তেমন কোনও বেসরকারি জায়গা নেই যেখানে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy