Advertisement
৩০ নভেম্বর ২০২৪
যত কাণ্ড ভুয়ো তালিকা নিয়ে
Coronavirus in West Bengal

স্তব্ধ পাড়ায় আঁচ চাপা অসন্তোষের

সোমবার সকালে থেকে বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকায় নতুন করে উত্তাপ না ছড়ালেও চাপা অসন্তোষ যে রয়েই গেছে, এলাকায় পা রেখেই তার আঁচ মিলল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২০ ০৩:৫৪
Share: Save:

জনবসতের স্কুলে কোয়রান্টিন কেন্দ্র খোলার প্রথম সন্ধেতেই বাধা পেয়েছিল প্রশাসন। তবে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল— বাধা পেলে পাল্টা শাস্তি পেতে হবে। সোমবার সকালে থেকে তাই বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকায় নতুন করে উত্তাপ না ছড়ালেও চাপা অসন্তোষ যে রয়েই গেছে, এলাকায় পা রেখেই তার আঁচ মিলল।

তবে, এ দিন তার কোনও বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি। বরং হরিদাসমাটি, চুঁয়াপুর, চালতিয়া, লালদিঘি প্রভৃতি এলাকার যাঁরা এত দিন নিজেদের এলাকায় কোয়রান্টিন কেন্দ্র খুলতে আপত্তি জানিয়ে রাত জাগছিলেন রাতারাতি তারাও খুলে ফেলেন বাঁশের ব্যারিকেড। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় বহরমপুর থানার পুলিশ বিক্ষুব্ধ ওই এলাকার ন’জন বাসিন্দাকে রবিবার আটক করে। বহরমপুর থানার পুলিশ আটকদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ এনেছে। সোমবার তাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলা হয়। বিচারক অন্নদাশঙ্কর মুখোপাধ্যায় তাদের জামিনের আর্জি খারিজ করে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আসামী পক্ষের আইনজীবী শুভাঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, “পুলিশের অভিযোগপত্র দেখলেই বোঝা যাবে এটা লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।” এছাড়াও ১৩০ জনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। ওই ন’জনের মধ্যে কংগ্রেসের এক প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তাঁর স্ত্রীও আছেন।

তবে ওই এলাকার বাসিন্দারা তাদের এই হঠকারিতার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ মারফত ছড়ানো একটি তালিকাকেই দায়ী করছেন। গোরাবাজার এলাকায় রবিবার পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত উত্তম ভকত বলেন, “হোয়াটস অ্যাপ মারফত জেলার কোন বিদ্যালয়কে কোয়ারান্টিন কেন্দ্র করা হচ্ছে তার একটা তালিকা পাই। সেখানেই বিভিন্ন এলাকার বিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের এলাকার শহীদ নলিনী বাগচি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামও ছিল।” সেই তালিকা ভুল না ঠিক তা অবশ্য তিনি যাচাই করে দেখেননি বলেই জানান উত্তম। ওই তালিকা কে কিভাবে প্রকাশ করল তা জানতে চাইলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমর কুমার শীল বলেন, “এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করব না।” পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যে তালিকার ওপর ভিত্তি করে এলাকার মানুষ সন্ত্রস্ত হয়ে উঠেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে তালিকা ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই তালিকার সঙ্গে শিক্ষা দফতরের প্রকাশিত তালিকার কোনও মিল নেই জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, “আমরা ওই তালিকা কোথা থেকে কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এল তা তদন্ত করে দেখেছি।” জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা যায় এখনও পর্যন্ত ৩৪৮টি প্রাথমিক এবং ১০৯টি উচ্চবিদ্যালয়কে কোয়ারান্টিন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy