মঙ্গলবার বিকেলে কল্যাণীতে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন ওই শিক্ষকেরা।
প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে নদিয়া জেলার বেশির ভাগ চুক্তিভিত্তিক পূর্ণ সময়ের কলেজ শিক্ষক মঙ্গলবার ক্লাস বয়কট করেন। বুধবারও নদিয়া-সহ রাজ্যের বেশির ভাগ কলেজেই এই শ্রেণির শিক্ষকেরা ক্লাস বয়কট করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে কল্যাণীতে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন ওই শিক্ষকেরা। তাঁদের সংগঠনের তরফে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলিতে প্রায় ছ’শো চুক্তিভিত্তিক পূর্ণ সময়ের শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরা সপ্তাহে পাঁচ দিন কলেজে যান, ২৪টি করে ক্লাস নেন। ২০১০ সালে তাঁদের স্থায়ী করা হয়। বেতন বাড়ানো হয়। এখন তাঁদের মাসিক বেতন হয়েছে ২৫৯৫৩ টাকা। তাঁদের আক্ষেপ, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে এক শ্রেণির শিক্ষকের মাসিক বেতন বাড়বে ৪৭ টাকা আর এক শ্রেণির বাড়বে মাসে ৪ হাজার টাকা। ওই শিক্ষকদের আক্ষেপ, তাঁরা বহু বছর ধরে সহকারী শিক্ষকদের মতোই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু অনেক পরে নিয়োগ হওয়া আংশিক সময়ের ও অতিথি শিক্ষকদের বেতন এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়বে। ফলে এই ঘোষণায় তাঁদের কোনও লাভ হল না। সরকার এখন তাঁদের অন্য দুই শ্রেণির শিক্ষকের মতো ভাবতে চাইছে। সম কাজে সম বেতনের নীতি মেনে সহকারী অধ্যাপকদের সমান বেতন দেওয়ার বদলে সরকার তিন শ্রেণির শিক্ষককে এক মেরুতে বসিয়ে তাঁদের অসম্মান করল। সংগঠনের নদিয়া জেলা সভাপতি, কল্যাণী মহাবিদ্যালয়ের ভূগোলের চুক্তিভিত্তিক পূর্ণ সময়ের শিক্ষক সন্দীপ মজুমদার বলেন, ‘‘মঙ্গলবার নদিয়া এবং অন্য জেলারও বহু শিক্ষক কর্মবিরতি করেছেন। আমাদের সম কাজে সম বেতনের দাবি মানতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে অন্য দুই শ্রেণির শিক্ষকেরা উপকৃত হবেন, আমাদের তত লাভ হবে না।’’
কল্যাণী মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষা বিজ্ঞানের চুক্তিভিত্তিক পূর্ণ সময়ের শিক্ষক কেয়া দাস বলেন, ‘‘যাঁরা মাসখানেক আগে অতিথি শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে আমাদের গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে। এটা মানা যায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy