সুব্রত সাহা। ছবি সংগৃহীত।
তৃণমূল পরিচালিত সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির কর্তাদের সঙ্গে ‘মধুর সম্পর্ক’ দলের বিধায়ক সুব্রত সাহার। সম্পর্ক এতটাই ‘মধুর’ যে পঞ্চায়েত সমিতির অধিকাংশ কর্মকর্তার সঙ্গে বিধায়কের কার্যত মুখ দেখাদেখি বন্ধ। গত মাসে পঞ্চায়েত সমিতির সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে সেই সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতিরি সভাপতি, একাধিক কর্মাধ্যক্ষ ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুব্রত সাহার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীসহ জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্তার কাছে গত ২৪ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খানকেও অভিযোগের কপি দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বিধায়ক সাগরদিঘির উন্নয়নের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। তাই তাঁর হাত থেকে সাগরদিঘিকে বাঁচাতে এই চিঠি। দলীয় বিধায়ক তথা দলের জেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে করা অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে অস্বস্তিতে পড়ছে তৃণমূল।
অভিযোগের কপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, ‘‘অভিযোগের কপি পেয়েছি। উনি(সুব্রত সাহা) আমাদের সিনিয়র নেতা। তাঁকে আমি আর কী বুদ্ধি দেব। তবে যাঁরা অভিযোগ করেছেন তাঁদের সাথে আলোচনায় সমন্বয়ের চেষ্টা করব।’’ সুব্রতবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমি এ বিষয়ে কোনও কথাই বলব না।’’
সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের বেরাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘সুব্রতবাবু সাগরদিঘির উন্নয়নকে ব্যাহত করতে চাইছেন। পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত যাতে উন্নয়মূলক কাজ করতে না পারে সে জন্য গন্ডগোল পাকিয়ে রাখছেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছেন। এমনকি দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy