আজ বড়দিন। বহরমপুরে সেজে উঠেছে গির্জা। ছবি: গৌতম প্রামাণিক ।
করোনার কারণে রাত ন’টার পরে গির্জায় কোন প্রার্থনা হবে না। আজ সারাদিন দর্শনার্থীদের জন্যও বন্ধ থাকবে গির্জার অন্দর। তবে রঙিন আলোয় সেজে উঠেছে গির্জা চত্বর। আর তা দেখতে বড়দিনের আগের সন্ধ্যায় শীত উপেক্ষা করে রাস্তায় নামলেন বহরমপুরবাসী। তবে গত সপ্তাহের শনি রবিবারের তুলনায় এদিন অবশ্য তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করেছে ১৫-১৭ ডিগ্রির মধ্যেই।
তবে অন্য বছরের তুলনায় এবছর তেমন ভিড় হয়নি গির্জায়। বহরমপুরের এক বাসিন্দা পুলক চক্রবর্তী বলেন, “অন্য বছর এই সময় হাঁটা দায় হয় মানুষের ভিড়ে। অথচ এ বছর সেই ভিড় উধাও।”
তবে সারাদিন রোদ ঝলমল আবহাওয়ায় শহরের মাঠে মাঠে দাপিয়েছে শিশুরা। বাদ ছিলেন না বুড়োরাও। ব্যারাক স্কোয়ারের চার কোণের উঁচু বাতিস্তম্ভের আলোয় দিব্যি শুরু হয়েছে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট। সরকারি অনুমোদন না থাকলেও ক্রিকেট প্র্যাক্টিস করতে নেমেছে খুদেরা। দিনের বেলায় জমিয়ে হচ্ছে আন্তঃক্লাব ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক বিশ্বজিৎ ভাদুড়ির আক্ষেপ, “মেয়েদের আন্তঃজেলা জুনিয়র হকি টুর্নামেণ্ট শুরু হয়েছে। কলকাতায় ভলিবলের স্টেট চাম্পিয়নশিপ শুরু হয়েছে। অথচ আমরা জেলাতে খেলাধুলোর প্রয়োজনীয় অনুমতি পাইনি।”
প্রত্যেক বছর নিয়ম করে ডিসেম্বরের গোড়ায় নাটক দেখার লম্বা লাইন পড়ে রবীন্দ্রসদনে। আর তা চলে শীতের শেষ পর্যন্ত। বহরমপুরের বাসিন্দা বিপ্লব মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রশাসন রবীন্দ্রসদন শাসকদলকে ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে। নাটক প্রদর্শনের ক্ষেত্রেই যত বাধা।” ঋত্বিকের কর্ণধার মোহিত বন্ধু অধিকারীও বলেন, “রবীন্দ্রসদন পাওয়ার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট নির্দেশ না থাকায় আমরা বিভ্রান্ত। ফলে সদনে নাটক প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।” তবে স্বল্প দর্শক নিয়ে অন্তরঙ্গ নাট্য প্রদর্শনে উদ্যোগী হয়েছেন শহরের বেশ কিছু নাট্যসংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy