—প্রতীকী চিত্র।
ফের বোমার শিকার দুই শিশু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের প্রথমে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকেই সরাসরি তাদের দু’জনকেই বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এরা দু’জনে ভাই বোন।বড় অর্ক মণ্ডল। ছোট রিয়া মণ্ডল। ভাই পড়ে তৃতীয় শ্রেণিতে,বোন দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
বুধবার দুপুরে লালগোলার নসিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন দিয়ার গ্রামে এই ঘটনায় গ্রাম জুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
লোকসভা ভোট পর্ব শেষ। কিন্তু তাতেও যেন থামছে না মুর্শিদাবাদে বোমাবাজির তাণ্ডব। গোটা জেলা জুড়েই বিভিন্ন ঘটনায় বোমার বিস্ফোরণ লেগেই রয়েছে প্রায় প্রতিদিনই। পরপর একাধিক ঘটনায় বোমার তাণ্ডব ঘটেছে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলাতেও।
ঘটনাস্থলের পাশেই বাড়ি নসিপুরের প্রাক্তন প্রধান নেশফুল হকের। তিনি বলেন, “পরিত্যক্ত বাড়িটি কাঞ্চন মণ্ডল বলে এক গ্রামবাসীর। পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। সেই বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী বাসন্তী মণ্ডল ও দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে তাঁরা গ্রামেই অন্য এক জনের বাড়িতে থাকছেন বছর খানেক ধরে। ভাগীরথী নদীর পাড়েই সেই পরিত্যক্ত ইটের বাড়িটি এখন ভেঙে চুরে গেছে। সেই নিজেদের ভাঙাচোরা বাড়ির মধ্যেই বুধবার দুপুর নাগাদ খেলছিল ভাই বোন দুজনে। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে।”
গ্রামবাসীরা জানান, দুজনেই শিশু। তারা দেখে পড়ে আছে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ। কৌতূহলবশে তারা সেটি খুলে পায় দু’টি সুলতিতে জড়ানো গোলাকার বস্তু আদতে যা দেশি সুতলি বোমা। একটি গোল বস্তু নিয়ে তারা বল ভেবে খেলতে শুরু করতেই তাতে বিস্ফোরণ ঘটে। ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় ছিটকে পড়ে তারা। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। ছুটে আসেন মা বাসন্তীও। দেখা যায় দুজনেরই সারা শরীর ক্ষত বিক্ষত হয়ে রক্ত ঝরছে। লালগোলা থানার নসিপুর পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়লেও ভাগীরথীর পূর্ব তীরে নতুন দিয়ার গ্রাম ও তাঁদের বাড়ি। নদীর পশ্চিমপাড়ে রঘুনাথগঞ্জের বীরেন্দ্রনগর গ্রাম। দু’জনকেই তাই নদী পেরিয়ে নিয়ে আসা হয় দ্রততার সঙ্গে কাছের জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
ভগবানগোলার এসডিপিও উত্তম গড়াই বলেন, “বাড়িটি পরিত্যক্ত। সেখানেই কেউ ফেলে রেখেছিল সুতলি বোমা দুটি। দুই শিশু তা নিয়ে খেলতে গিয়েই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy