জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে পণ্য ও পরিষেবা কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে তাঁর অফিস, কারখানায় হানা দিলেন কেন্দ্রীয় জিএসটি আধিকারিকেরা। মঙ্গলবার বিকেল ৪টা নাগাদ ৮ সদস্যের তদন্তকারী দল এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা উপস্থিত হন মুর্শিদাবাদে। জাকিরের ‘প্রোডাকশন অফিস’, কারখানা-সহ একাধিক জায়গায় যান তাঁরা। রাত ৮টা পর্যন্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তদন্তকারী দলটি তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর অফিসের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
বিশেষ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে সিজিএসটি-র আধিকারিকদের একটি দল জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকিরের অফিসে যায়। আট জায়গায় একসঙ্গে হানা দেয় তারা। কর সংক্রান্ত একাধিক নথি খতিয়ে দেখেন প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ জাকিরের বাড়ি, কারখানায় হানা দিয়েছিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। সে বার বিধায়কের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল নগদ ৯ কোটি টাকা। জাকির জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে। তিনি ওই টাকা শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য রেখেছিলেন বলে দাবি করেন।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জঙ্গিপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সন্তোষ চৌধুরীর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন জাকির। পুরসভার তৈরি রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সন্তোষের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করেন। সেই নিয়ে রাজনৈতিক শোরগোল অব্যাহত। তার মধ্যে শাসকদলের বিধায়কের অফিস, কারখানায় কেন্দ্রীয় সংস্থার হানা নিয়ে নতুন করে চাপানউতর শুরু হয়েছে।