সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উদ্যোগে নো ম্যানস ল্যান্ড ভরেছে সৌর আলোয়। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।
সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে কাঁটা তার ঘেষাঁ পিরোজপুর ও বাজিতপুর চর জুড়ে সৌর আলোর ব্যবস্থা করল বিএসএফ। সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ড এলাকায় চরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আলো দিয়ে মুড়ে দিতে পারলে দূরের টাওয়ার থেকে সীমান্ত পথে নজরদারি করা আরও সহজ হবে বলেই মনে করছে বিএসএফ।
পদ্মা পার করে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়, তাই সৌর আলোর উপরেই জোর দিচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ইতিমধ্যেই গ্রামের মাদ্রাসা ও ছাত্রদের কাছে বেশ কিছু সৌর ল্যাম্প তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের ব্যবহারের জন্য। বিএসএফের কমান্ড্যান্ট বিজয়কুমার সিংহ জানান, এত দিন আলো না থাকায় সীমান্ত পাহারায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে জওয়ানদের। কাজ সারতে হত টর্চের আলোয়। অন্ধকার পথকে পাচারের জন্য বেছে নিতে তাই সুবিধে হত পাচারকারীদের। সীমান্তের চর এলাকায় আলো থাকলে একেবারে শেষ সীমান্তে টহলদারির প্রয়োজন পড়বে না। দূরের আউট পোস্টে দাঁড়িয়ে থেকেই নজরদারি চালানো সহজ হবে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট ও প্ল্যান এস্টিমেট পাঠানো হয়েছিল, তার বাস্তবায়নের কাজও শুরু হয়েছে।
সীমান্ত এলাকায় পাচারের জন্য চরের গ্রামগুলি ব্যবহার করে পাচারকারীরা। কড়া নজরদারি রাখতে তাই মালদহে বাইশ মাইল এলাকায় ৭৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সদর দফতর ওই কাজ শুরু করেছে। এর ফলে গরু পাচার কমেছে, কমেছে মাদক পাচার। পিরোজপুরে পদ্মার চরে প্রায় ১৮.৭০ লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে ৪২.৯২৯ একর জমিতে সরকারের একটি পর্যটন প্রকল্প গড়ছে। সেখানে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ইতিমধ্যেই সৌর আলো বসানো হয়েছে। সে আলো জ্বলছে বিকেল থেকেই। রাত বাড়লে আঁধার কেটে সৌরালোকে ভাসছে সীমান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy