ফিরে যাচ্ছেন শ্রমিকেরা। —নিজস্ব চিত্র
আজিমগঞ্জ-নসিপুর রেলসেতুর পশ্চিমপাড়ের জমিজট কেটে গিয়ে কাজ শুরু হতেই জমিজটে থমকে গেল পূর্বপাড়ের কাজ।
পূর্বপাড়ের নির্মীয়মান প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ লিঙ্ক রোডের প্রায় ১০০ মিটার এলাকা ভরাটের কাজ বাকি আছে। নশিপুর হল্ট লাগোয়া সেই এলাকায় রেলের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার মাটি ভরাটের কাজ শুরু করতে গেলে বাধা দেয় ‘নসিপুর-আজিমগঞ্জ জমিহারা কল্যাণ কমিটি’র লোকজন। কমিটির সম্পাদক নিশিকান্ত মালাকার বলেন, ‘‘পশ্চিমপাড়ের দিয়াড় মাহিনগরের ৬২ জন জমিদাতাকে রেল চাকরি দিচ্ছে। একই প্রকল্পে পূর্বপাড়ের প্রায় দেড়শোটি পরিবারের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। একই প্রকল্পে জমিদাতা ওই পরিবারগুলি কেন চাকরি পাবে না?’’
কাজে বাধা দেওয়ার খবর শুনে পুলিশ সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জের বিডিও রহমত আলি। বিডিও বলেন, ‘‘জমিদাতাদের বক্তব্য লিখিত ভাবে চাওয়া হয়েছে।’’ জমি অধিগ্রহণ দফতরের মুশির্দাবাদ জেলার বিশেষ আধিকারিক শ্যামল পাল বলেন, ‘‘২০১০ সালের বিশেষ আইন অনুসারে পশ্চিমপাড়ের জমিদাতাদের চাকরি পাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। কিন্তু তার আগে ২০০৮ সালে পূর্বপাড়ের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেই আইনে জমিদাতাদের চাকরি পাওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই।’’
পূর্বপাড়ে নশিপুর হল্ট ও পশ্চিমপাড়ে আজিমগঞ্জ জংশনের মধ্যবর্তী এলাকায় ভাগীরথীর উপর সেতু নির্মাণ করে রেলের শিয়ালদহ ও হাওড়া বিভাগের দুটি লাইনকে সংযুক্ত করার প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয় ২০০৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর। বছর ছয়েক আগে রেলসেতু প্রকল্পটির শতকরা ৯৫ ভাগ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তারপরই সিঙ্গুর-জমি আন্দোলনের ঢেউ এসে পড়ে নশিপুর-আজিমগঞ্জের ভাগীরথী পাড়ে। তারপর থেকে জমিজটে আজও চালু হল না সেতু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy