ইটভাটায় এখানেই ধসেছে দেওয়াল। রবিবার। নিজস্ব চিত্র।
ইটভাটায় কাজ করার সময়ে ইটের দেওয়াল ধসে মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম পুলিন মারান্ডি (৩৫) ও পিঙ্কি ডহরি (৩৮)। দু’জনেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। গুরুতর জখম অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন চার জন। এই ঘটনায় ইটভাটার নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
শান্তিপুর থানার আরবান্দি ১ পঞ্চায়েত এলাকার চাদরা গ্রামে একটি ইটভাটা রয়েছে। সেখানে স্থানীয় এবং ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকেরা কাজ করেন। রবিবার দুপুরে সেখানে ইটের দেওয়ালের সামনে কাজ করছিলেন জনা ছয়েক শ্রমিক। সেই সময়েই ইটের দেওয়াল ভেঙে পড়ে তাঁদের উপরে। গুরুতর জখম হন ছ’জনই। তাঁদের শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে দু’জনকে ‘মৃত’ ঘোষণা করা হয়।
ইটভাটা সূত্রে জানা যায়, সেখানে ১২০ জনের মতো শ্রমিক কাজ করেন। অনেকেই ভিন্ রাজ্যের। এ দিন দুর্ঘটনা ঘটে যেখানে তৈরি করা ইট পোড়ানোর কাজ হয় সেই অঞ্চলে। সেখানে জনা কুড়ি শ্রমিক কাজ করছিলেন। ইট পোড়ানোর কাজ চলার সময়েই পাশে ইটের দেওয়াল ভেঙে পড়ে। কর্মীদের মধ্যে এক জন মোহন মুর্মু বলেন, “আমরা কয়েক জন ইটের দেওয়ালের সামনে কাজ করছিলাম। হঠাৎ সেই দেওয়াল ভেঙে পড়ল। অনেকে চাপা পড়ল।”
অধীর ঘোষ নামে এক জন এই ভাটা লিজ নিয়ে চালাচ্ছেন। তাঁর দাবি, “সব রকমের সাবধানতা আমাদের নেওয়া হয়। হঠাৎ এমন দুর্ঘটনা ঘটে যাবে ভাবিনি।” স্থানীয় আরবান্দি ১ পঞ্চায়েতের প্রধান দীপালি দেবনাথ বলেন, “একটা দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এই কর্মীদের পরিবার যাতে সব রকম সহযোগিতা, পায় তা দেখা হবে।”
কিন্তু নজরদারি ও রক্ষণাবেক্ষণ থাকলে এ রকম দুর্ঘটনা ঘটল কী করে? অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি সংস্কার) অনীশ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘ইটভাটাগুলোর উপরে আমরা নিয়মিত নজরদারি চালাই। এখানে কী হয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy