বাজির আড়ালে বোমা! নিজস্ব চিত্র
বাজির আড়ালে বোমা!
কালীপুজোর আতসবাজি তৈরির ফাঁকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি তৈরির ছল চাতুরি নতুন নয়। এ বার সেই শব্দবাজির আড়ালে পেটো-সকেটের কারবারা ফেঁদে বসারও খবর মিলেছে পুলিশের কাছে।
রেজিনগরের ফরিদপুর এলাকায় তারই খোঁজে অভিযানও শুরু করেছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদের রেজিনগর আর তাকে ঘিরে থাকা ফরিদপুর-সোমপাড়া-বিদুপুর গ্রামগুলিতে বাজির আঁতুরঘর। বছরের এই সময়ে সেখানে বাজি তৈরির ধুম পড়ে যায়। তবে, গত কয়েক বছর ধরে সেখানে বাজির আড়ালে বোমার কারবার শুরু হয়েছে বলে পুলিশের একাংশের অভিমত।
বাজি এবং বোমার মশলায় যেহেতু ফারাক তেমন নেই, তাই ফরিদপুর-সহ ওই সব গ্রাম থেকে মশলা চালান যাচ্ছে ডোমকল, ইসলামপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায়।
ডোমকলের কুশাবেরিয়া, গরিবপুর ছুঁয়ে পড়শি জেলা নদিয়ার ফাজিলনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে ওই মশলা। ওই এলাকার এক বাজি ব্যবসায়ী রাখঢাক না রেখেই বলছেন, ‘‘এই সময়ে বাজির মশলার আড়ালে বোমার মশলা আমদানি করা সহজ। পুলিশ ধরলে বাজি তৈরির কথা বলে নিয়ে আসা হয় কারখানায়। তার পর নিশ্চুপে চলে দড়ি বোমা (পেটো), সকেট বোমা।’’ গরিবপুরে রাস্তার ধারেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন বাজি কারখানা।
একটি কারখানার মালিক বলছেন, ‘‘অনুমতি নিয়ে তো আর বোমা তৈরি করা যায় না, তাই এই ছল চাতুরি করতে হয়। আতস বাজির সঙ্গেই রাতের দিকে চুপিসাড়ে তৈরি হয় নিষিদ্ধ শব্দবাজি আর কারখানার পিছন দিকে বাঁধা হয় বোমা।’’
এক সময়ে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করত বোমার বাজার। এখন দিন বদলেছে। প্রায় প্রতি বছরই কোনও না কোনও নির্বাচন লেগে থাকে। পুলিশের এক কর্তা বলছেন, ‘‘এখন আর নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। সারা বছরই বোমার ব্যবহার হচ্ছে! তবে কালীপুজোর সময়ে বাজি তৈরির নামে মশলা এনে একই সঙ্গে বোমা বেঁধে রাখার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়।’’
এ বার তাই, জেলার প্রান্তিক ওই সব গ্রামে বাজি কারখানায় হানা দিচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বন্ধ কারখানা থেকেও বোমা উদ্ধার
করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy