—প্রতীকী চিত্র।
সারা শরীরেই পেরেক ফোটানোর ক্ষতচিহ্ন। সেই অবস্থায় নিথর দেহ কাঁঠাল গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে! বৃহস্পতিবার সকালে যুবকের ওই ঝুলন্ত দেহ স্থানীয়দের নজরে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদের ডোমকলের মুরারিপুর বণিকপাড়ায়। নিহত যুবকের নাম শরিফুল ইসলাম (৩৪)। বাড়ি ডোমকলের উত্তর গরিবপুরে। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে শরিফুলের বিয়ে হয় মুরারিপুরের মৌসুমি খাতুনের সঙ্গে। তাঁদের ১১ মাসের এক কন্যাসন্তানও আছে। বছরখানেক গড়াতেই স্ত্রী ও শাশুড়ির সন্দেহ হয়, শরিফুল বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন! তা নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। দিন কয়েক আগে মৌসুমীর মা শরিফুলের বাড়িতে আসেন। সালিশি সভা বসে গ্রামে।
মৃতের পরিবারের দাবি, সালিশি সভায় স্থির হয়, মৌসুমিকে তাঁর বাপের বাড়ি চলে যেতে হবে। পরে অশান্তির মীমাংসা হলে তিনি শ্বশুরবাড়ি ফিরবেন। সেই মতো বাপের বাড়ি চলেও যান মৌসুমি। বুধবার রাতে শরিফুলকে ফোন করে মৌসুমির বাড়িতে ডাকা হয়। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে শরিফুল মৃত্যুর খবর মেলে। মৃতের আত্মীয় রুহুল শেখ বলেন, ‘‘শরিফুলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমাদের ধারণা, কাকার গায়ে পেরেক ফুটিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। পরে খুন করে দেহ গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
শরিফুলের পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক অশান্তির জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। মৃতের দাদা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘বুধবার রাত ৮টা পর্যন্তও ভাই বাড়িতেই ছিল। বিয়ের ঘটক রঞ্জু শেখকে দিয়ে তাঁকে ফোন করিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালের খবর পাই, ভাইয়ের দেহ শ্বশুর বাড়ির পাশের কাঁঠাল গাছে ঝুলছে। ওঁর স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির সদস্যেরা পলাতক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy