সকাল থেকে লাইন দিয়ে মস্তকমুণ্ডন করছেন একের পর এক বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। নিজস্ব চিত্র।
সকাল থেকে লাইন দিয়ে মস্তকমুণ্ডন করছেন একের পর এক বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এক জন বা দু’জন নয়, এক ডজন বিজেপি সমর্থক ন্যাড়া হয়ে গেলেন! উপলক্ষ— দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হয়ে থাকা পঞ্চায়েত তাদের দল দখল করেছে। কিন্তু মস্তকমুণ্ডন কেন? তাঁদের ব্যাখ্যা, এত দিন ধরে তাঁরা যে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন, তার প্রায়শ্চিত্ত করতেই এই সিদ্ধান্ত। পাল্টা শাসকদলের কটাক্ষ, লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপির ‘শেষকৃত্য’ সম্পন্ন হল!
নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের ১৮টি আসন বিশিষ্ট ভাজনঘাট টুঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েত দীর্ঘ ১৫ বছর নিজেদের দখলে রেখেছিল তৃণমূল। সদ্যসমাপ্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে ওই ১৮টি আসনের মধ্যে ১২টিতেই জয় করেছে বিজেপি। তৃণমূল পেয়েছে ছ’টি আসন। ১৫ বছরের ঘাসফুল-দুর্গে ধ্বস নামিয়ে নিরঙ্কুশ ব্যবধানে জয়লাভ করার পর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করতে ইতিমধ্যেই নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। সেই আনন্দেই বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভবনের সামনেই মাথা ন্যাড়া করলেন দলীয় সমর্থকদের একাংশ।
মস্তকমুণ্ডনের পর এক বিজেপি সমর্থক বলেন, ‘‘এত বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও এলাকার সাধারণ মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে কোনও কাজ করেনি তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত। ওদের ভোট দিয়ে এত দিন খুব ভুল করেছি। তাই প্রায়শ্চিত্ত করলাম।’’ একই কথা বলেন বিজেপি নেতা সন্দীপ মজুমদারও। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষ এত দিন তৃণমূলকে ভোট দিয়ে যে পাপ করেছে, মাথা ন্যাড়া করে সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা হল।’’
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে যে ভাবে পর্যুদস্ত হয়েছে, তাতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের দলের শেষকৃত্য করে রাখল বিজেপি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy