প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটে ছাপ ফেললেও বুথ স্তরে দলের সংগঠন এখনও দুর্বল। নিচু তলায় এবার দলের সংগঠন গোছাতে ঝাঁপাচ্ছে গেরুয়া শিবির। প্রতি বুথে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ শোনাতে উদ্যোগী হল বিজেপি। দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদেরও তাতে যুক্ত করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। যদিও একে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল।
গত লোকসভা ভোটে নদিয়ায় গেরুয়া শিবিরের উত্থান হয়েছে অনেকটাই। কৃষ্ণনগর লোকসভায় জয় আসেনি, তবে বেশ কিছু বিধানসভা এলাকায় এগিয়ে ছিল তারা। এমনকি জেলা সদরেও এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় পিছিয়ে পড়তে হয়েছে তাদের। আবার রানাঘাট লোকসভা আসন তারা ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূলের থেকে। জেলায় প্রথম বিধায়ক পেয়েছে তারা কৃষ্ণগঞ্জের উপনির্বাচনে জিতে। জেলার উত্তর এবং দক্ষিণ, দুই জায়গাতেই দলের মধ্যে কোন্দলও নানা সময়ে মাথাচাড়া দিয়েছে। তা প্রকাশ্যেও আসছে মাঝেমধ্যেই। পাশাপাশি, বুথ স্তরে দলের সংগঠন এখনও বেশ দুর্বল। অনেক জায়গায় বুথ স্তরে দলের কমিটিও তৈরি করে ওঠা যায়নি। এবার সেই বুথ স্তরেই সংগঠন গোছানোর উদ্যোগ নিচ্ছে শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ আগেই শুরু হয়েছিল, এবার হাতিয়ার হল মন কি বাত। প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠান প্রতি বুথ এলাকায় সম্প্রচারের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মন কি বাত অনুষ্ঠান প্রতি বুথে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি নিচু তলার নেতা-কর্মীদের তা শোনার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়াও সাধারণ মানুষকে এতে যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন জায়গায় বুথ স্তরের নেতা-কর্মীরা আলোচনাতেও অংশ নেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
বুথ স্তরে দুর্বল সংগঠনই এখনও ভাবাচ্ছে নেতৃত্বকে। সেখানে এই ধরনের কর্মসূচিকে সামনে রেখেই এগোতে চাইছে তারা। বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অশোক চক্রবর্তী বলেন, “অধিকাংশ জায়গায় আমাদের বুথ কমিটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। বুথ স্তরে আমাদের সংগঠনকে মজবুত করে তোলার লক্ষ্যেই এগোচ্ছি আমরা।”
জেলার উত্তরে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপির বুথ স্তরে সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। সেখানেও তা কাটিয়ে ওঠার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। কোথাও মোবাইলে, কোথাও রেডিও, টিভির মারফত ‘মন কি বাত’ সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে রবিবার। বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া কনভেনর সন্দীপ মজুমদার বলেন, “বুথ স্তরে জনসংযোগের উপর আমরা জোর দিচ্ছি। ‘মন কি বাত’ নানা জায়গায় সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বার্তা যাতে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনো যায়, সেই লক্ষ্যেই কাজ করা হচ্ছে।”
জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বাণীকুমার রায় বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর যদি সাহস থাকে, তাহলে আন্দোলনকারী কৃষকদের সামনে বসে কেন কথা বলছেন না। ওরা এই ধরনের কর্মসূচিতে নানা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেবে। আমরা মানুষের হাতে নানা সুযোগ সুবিধা সরাসরি পৌঁছে দিচ্ছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy